মাদ্রাজ হাই কোর্ট বেকসুর খালাস করে ওই ব্যক্তিকে। —ফাইল চিত্র।
দেড় কেজি হেরোইন নিয়ে বিমানবন্দরে ধরা পড়েছিলেন এক যুবক। নিম্ন আদালত তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অনাদায়ে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল। আট বছর পর ওই মামলায় তাঁকে বেকসুর খালাস করল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। বিচারপতি জি জয়াচন্দ্রনের পর্যবেক্ষণ, অজান্তে হেরোইন বোঝাই ব্যাগ নিয়ে চেন্নাই বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন অভিযুক্ত।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) একটি দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চেন্নাই বিমানবন্দরে অভিযান চালায়। তাদের কাছে খবর ছিল বিশাল পরিমাণ মাদক নিয়ে চেন্নাই হয়ে কুয়েত যাচ্ছে এক পাচারকারী। যাত্রীদের ব্যাগ পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেন তাঁরা। পরীক্ষা হয় পাসপোর্ট। আনন্দম গুন্ডলুরু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁর ব্যাগ থেকে দেড় কেজি হেরোইন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়। আটক করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এক বছর ধরে চলে তদন্ত। তার পর মাদক-সহ একাধিক মামলায় নাম জড়ায় আনন্দমের। পরে তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন আনন্দম। তাঁর দাবি, গেজেট অফিসারকে তাঁর সামনে ব্যাগ পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা শোনা হয়নি। তা ছাড়া, তিনি জানতেন তাঁর ব্যাগে আটা এবং তেঁতুল ছিল। কোনও নেশার দ্রব্য না।
আদালতে দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর হাই কোর্ট তাঁকে বেকসুর খালাস করেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথম বার বিদেশে যাচ্ছিলেন। অন্যদের জিনিসপত্র বহন করতে ভয়ও পেয়েছিলেন। তবুও ভেঙ্কটেশ রাও নামে এক ব্যক্তি একটি ব্যাগ দিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল ওতে আটা এবং তেঁতুল আছে। পরে তিনি নিয়ে নেবেন। কিন্তু এর পরেই এই ঘটনা ঘটে। তাই অভিযুক্ত জানতেনই না যে তাঁর কাছে কী রয়েছে। তিনি প্রকৃতই ভেবেছিলেন যে ওতে আটা আর তেঁতুলই আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy