Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Chandrashekhar Azad

‘জামা মসজিদ কি পাকিস্তানে?’ চন্দ্রশেখরকে নিয়ে শুনানিতে আদালতে তিরস্কৃত দিল্লি পুলিশ

সিএএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের বিরুদ্ধে।

জামা মসজিদের এই ভিড়কেই হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে। —ফাইল চিত্র।

জামা মসজিদের এই ভিড়কেই হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:৫০
Share: Save:

ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের জামিনের শুনানিতে এ বার আদালতে তিরস্কৃত হল দিল্লি পুলিশ। আদালত জানিয়ে দিল, বিক্ষোভ দেখানো দেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আজাদ বিনা অনুমতিতে জামা মসজিদে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ দিল্লি পুলিশের। কিন্তু এ দিন আদালত বলে, জামা মসজিদ কি পাকিস্তানে? আর হলেই বা কী, সেখানেও বিক্ষোভ দেখানো যায়।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে জামা মসজিদে প্রতিবাদ মিছিল করা এবং হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে প্রায় এক মাস ধরে জেলবন্দি চন্দ্রশেখর আজাদ। মঙ্গলবার দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে তাঁর জামিনের শুনানি চলছিল। সেখানে আজাদের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ তোলেন সরকারি আইনজীবী। জামা মসজিদে ধর্না নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আজাদের একাধিক পোস্ট তুলে ধরেন তিনি। আজাদই হিংসায় মদত দিয়েছিলেন বলে অভিযোগও তোলেন।

কিন্তু তাঁর মন্তব্য ধর্তব্যের মধ্যে আনেননি বিচারক কামিনী লউ। তিনি বলেন, ‘‘ধর্নায় বসার মধ্যে ভুল কী আছে? প্রতিবাদই বা ভুল হতে যাবে কেন? প্রতিবাদ করা, ধর্নায় বসা এ সব নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে।’’ আজাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার মতো কিছু বা অসাংবিধানিক কোনও বার্তা ছিল না বলেও সাফ জানিয়ে দেন বিচারক। তিনি বলেন, ‘‘কোথায় হিংসা? পোস্টগুলিতে ভুল কী আছে? কে বলেছে প্রতিবাদ করা যাবে না? সংবিধানটা পড়ে দেখেছেন?’’

প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ দেখাতে গেলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয় বলে সরকারি আইনজীবী যুক্তি দেখাতে গেলে, তা-ও খারিজ করে দেন বিচারক লউ। তিনি বলেন, ‘‘কিসের অনুমতি? বিক্ষোভ রুখতে বার বার ১৪৪ ধারা জারি করা চলে না বলে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিয়েছে। সংসদের বাইরেও অনেককে বিক্ষোভ দেখাতে দেখেছি। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার রাজনীতিক, মুখ্যমন্ত্রী। আপনারা এমন করছেন যেন জামা মসজিদ পাকিস্তানে। আর যদি পাকিস্তানেই হয়, তাহলে সেখানেও বিক্ষোভ দেখানো যায়। কারণ অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল পাকিস্তান।’’

তবে জামা মসজিদে দাঁড়িয়ে আজাদ প্ররোচনা মূলক মন্তব্যই করেছেন বলে পাল্টা দাবি করেন সরকারি আইনজীবী। তার ড্রোন ফুটেজও রয়েছে বলে জানান তিনি। সেগুলি আদালতে জমা দিতে বিচারকের কাছে সময় চান তিনি। আগামিকাল বিষয়টি নিয়ে ফের শুনানি হওয়ার কথা। তবে আজাদের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE