বিহারের বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে। তার আগে ফের অস্বস্তিতে আরজেডি নেতৃত্ব। আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলায় আরজেডি নেতা তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করল আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো নানা অভিযোগ উঠে এসেছে বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন লালু।
সোমবার আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলায় লালু, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। এ ছাড়া, ‘জমির বদলে চাকরি’ মামলাতেও লালুর পরিবারের নাম জড়িয়েছে। দুই মামলাতেই তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতের দাবি, ঘুষ নেওয়ার সপক্ষে জোরালো প্রমাণ না মিললেও এই দুই মামলায় সরাসরি আর্থিক সুবিধা পেয়েছে লালুর পরিবার। যদিও লালু-সহ সকলেই ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেছেন নিজেদের। রাবড়ি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ‘মিথ্যা’ মামলায় তাঁদের নাম জড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাঁচী ও পুরীতে আইআরসিটিসি-র দু’টি হেরিটেজ হোটেলের টেন্ডার একটি বেসরকারি সংস্থাকে পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন লালু। পরিবর্তে সেই সংস্থার কাছ থেকে দু’একর জমি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে লালুর বিরুদ্ধে। তা ছাড়া, লালুর পরিবারের বিরুদ্ধে গ্রুপ ডি-র চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে বহু চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ন্যূনতম দামে জমি কিনে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ২০২২ সালে ওই মামলায় চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। মোট ১৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। সেই মামলাতেই এ বার চার্জগঠন করল দিল্লির আদালত।