পড়শি দেশে টিকা রফতানি চালু রাখার পক্ষে দিল্লি। —ফাইল চিত্র।
জোগান না থাকায় তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরুই হয়নি একাধিক রাজ্যে। তাতে তীব্র সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার প্রকোপে গোটা দেশ যখন বিপন্ন, সেই সময় বিদেশ বিভুঁইয়ে থরে থরে সাজিয়ে টিকা পাঠানো হল কেন, তা নিয়ে লাগাতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। সমালোচনার মুখে কিছুটা পিছু হটলেও, পড়শি দেশগুলিতে আগামী দিনে টিকা পাঠাতে বদ্ধ পরিকর কেন্দ্র। কূটনৈতিক ভাবে উপমহাদেশে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার এ ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে দিল্লিসূত্রে খবর।
পাকিস্তানকে বাদ দিলে এই মুহূর্তে ভারতের যে প্রতিবেশী দেশগুলিতে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, সেগুলি হল বাংলাদেশ, নেপাল এবং মলদ্বীপ। এর মধ্যে নেপাল এবং মলদ্বীপে পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। মলদ্বীপে এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। মালে-তে কার্ফুও জারি হয়েছে। অন্য দিকে, রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে নেপালে। সেখানকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেবারেই ভেঙে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে এই দেশগুলিতে টিকাকরণ বাড়ানোকেই প্রাধান্য দিচ্ছে দিল্লি। তাদের মতে, ভারতীয় উপমহাদেশে বৃহত্তম শক্তিশালী দেশ হিসেবে নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিপদে-আপদে প্রতিবেশীদের পাশে থাকা জরুরি। তাই পরিমাণে কম হলেও, টিকা রফতানি চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy