ফাইল ছবি।
কেরলের পুরসভার উপনির্বাচনে লালের জয় জয়কার। কেরলের বিভিন্ন পুরসভার মোট ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টি ওয়ার্ড দখল করেছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোটের প্রার্থীরা। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোট জিতেছে ১২টি ওয়ার্ডে। বিজেপি জিতেছে ৬টি ওয়ার্ডে।
বামেরা অধিকাংশ ওয়ার্ডে জয়লাভ করলেও কেরলের ত্রিপুনিথুরা পুরসভায় সিপিএমের জেতা দু’টি ওয়ার্ড এ বার গিয়েছে বিজেপির দখলে। এর ফলে সিপিএমের জেতা ওয়ার্ড সংখ্যা ২৫ থেকে নেমে এল ২৩-এ। ৪৯ ওয়ার্ডের পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দল।
অন্য দিকে, কান্নুর জেলায় সিপিএম মুঝাপ্পিলাঙ্গদ পঞ্চায়েতে একটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে। ওই এলাকায় সেমি হাই-স্পিড রেল করিডোর প্রকল্পের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এলাকার বিপুল সংখ্যক সিপিএম সমর্থক বিক্ষোভ আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় উপনির্বাচনে দেখা গেল, জনসমর্থন রয়েছে সিপিএমের দিকেই।
স্থানীয় উপনির্বাচনে জয়ের প্রেক্ষিতে মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। তিনি বলেন, ‘‘এই ফলাফল আবার দেখিয়ে দিল, কেরলে এলডিএফের প্রতি জনসমর্থন ক্রমেই বাড়ছে। এই ফলই প্রমাণ, মানুষ চাইছেন, এলডিএ তার উন্নয়ন ও সমাজসেবামূলক কাজ একই রকম ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাক। মানুষ কংগ্রেস ও বিজেপির অশুভ আঁতাতকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।’’
বামপন্থীদের কাছ থেকে পাল্টা দু’টি ওয়ার্ড ছিনিয়ে নেওয়াকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে গেরুয়া শিবির। কেরল বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন জানিয়েছেন, ফলাফলে স্পষ্ট, সংখ্যালঘু মানুষ এখন বিজেপিকে সমর্থন করতে শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, বিজেপির থিরিপুনিথুরা পুরসভায় দু’টি এবং কোচি কর্পোরেশনে একটি আসন জয় আসলে সিপিএম এবং কংগ্রেসের কাছে বিপদসঙ্কেত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy