ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির কথা গত শনিবার প্রথম ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এ-ও দাবি করেছিলেন, আমেরিকার উদ্যোগেই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদ। এই ঘটনাকে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ‘উদ্বেগজনক’ বলে মনে করছে সিপিএম। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সংসদের বিশেষ অধিবেশন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম আকেলজান্ডার বেবি।
এর আগে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও একই বিষয় তুলে রবিবার মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন। তবে সিপিএম যে চিঠি দিয়েছে, তাতে ট্রাম্পের ভূমিকাকে আরও জোরালো ভাবে সমালোচনা করা হয়েছে। মোদীর উদ্দেশে বেবি লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশের তরফে ঘোষণার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দেওয়া উদ্বেগজনক।’’ বেবি আরও লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশের ঘোষিত নীতি হল, এই ধরনের বিরোধ আমরা দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করি। কোনও তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ গ্রহণ করে না ভারত। এই পরিস্থিতির জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যাখ্যা প্রয়োজন।’’
আরও পড়ুন:
রাহুল গান্ধী মোদীর উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘আমি অবিলম্বে সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য বিরোধীদের সর্বসম্মত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করছি। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা, অপারেশন সিঁদুর, এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলায় সম্মিলিত সংকল্প দেখানোর একটি সুযোগও হবে। আমি বিশ্বাস করি, আপনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে এবং দ্রুত বিবেচনা করবেন।’’ শুধু রাহুল একা নন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও একই অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজাও মোদীকে চিঠি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ট্রাম্প কি সত্যিই মধ্যস্থতা করেছেন? তা সরকার স্পষ্ট করুক।
ঘটনাচক্রে, সোমবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ট্রাম্প ফের বলেছেন, তিনিই যুদ্ধ বন্ধের জন্য দুই দেশকে চাপ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, যুদ্ধ বন্ধ না-করলে ব্যবসা বন্ধ করবে আমেরিকা। যা প্রাধনমন্ত্রী মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের আধঘণ্টা আগে সেই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। যা নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতেই বিরোধীরা চাপ বাড়াতে শুরু করল কেন্দ্রের উপর।