Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Disha Ravi

দিশা রবির সমর্থনে ‘বাড়াবাড়ি’ হচ্ছে, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি প্রাক্তন বিচারপতি এবং আইপিএস আধিকারিকদের

চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, এক জন ষড়যন্ত্রকারী হিসেবেই দিশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি যে ‘টুলকিট’ শেয়ার করেছেন তাতে যে সব তথ্য আছে তা দেশকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কালিমালিপ্ত করার জন্যই।

দিশা রবি। ফাইল চিত্র।

দিশা রবি। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:১৩
Share: Save:

পরিবেশ আন্দোলনকর্মী দিশা রবির সমর্থনকারীদের সমালোচনা করে সরব হলেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস এম নাগেশ্বর রাও এবং সিকিমের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রমোদ কোহলি-সহ বেশ কয়েক জন। এ তাঁরা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে চিঠিও লিখেছেন।

কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেটা থুনবার্গের ‘টুলকিট’ শেয়ার করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন দিশা। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ এনে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সোমবার আদালতে মামলাটি উঠলে দিশাকে জেরার জন্য এক দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘এক জন অপরাধীকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তাঁর বয়সকে বেশি করে আলোকপাত করা হচ্ছে। আইনত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী কোনও প্রাপ্তবয়স্ককে নিরাপরাধ বলে ঘোষণা করা যায় না। এ ধরনের মামলায় বয়স গুরুত্বপূর্ণ নয়, যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল, যে কাজগুলো করা হয়েছে সেগুলো দেশবিরোধী।’

চিঠিতে আরও দাবি করা হয়েছে, এক জন ষড়যন্ত্রকারী হিসেবেই দিশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি যে ‘টুলকিট’ শেয়ার করেছেন তাতে যে সব তথ্য আছে তা দেশকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কালিমালিপ্ত করার জন্যই। শুধু তাই নয়, এই ‘টুলকিট’-এর মাধ্যমে সমাজবিরোধী এবং দেশবিরোধী কাজকে প্রশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এর দ্বারা ১৯৮৪-র দাঙ্গার মতোই দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল বলেও চিঠিতে অভিযোগ করেছেন প্রমোদ কোহলিরা।

চিঠিতে তাঁরা আরও দাবি করেছেন, ‘এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে, কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী দিশার গ্রেফতারিকে রং চড়িয়ে মৌলিক অধিকার এবং বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। একটা গুরুতর অপরাধ করার পরেও তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। কোনও গুরুতর অপরাধ করলে গ্রেফতারের ঘটনা স্বাভাবিক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যেটা অস্বাভাবিক তা হল, বেশ কিছু দল এবং ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে শোরগোল করছেন। প্রমোদ কোহলিদের আরও অভিযোগ, বেশি কিছু ব্যক্তি তাঁদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পুলিশকে কাজে বাধা দিচ্ছেন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে দিল্লি পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। দিল্লি পুলিশ যাতে ‘টুলকিট’ নিয়ে স্বাধীন ভাবে তদন্ত করতে পারে তার জন্য কেন্দ্রের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন প্রমোদ কোহলিরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Disha Ravi Toolkit Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE