ফাইল চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় টাউটের অভিঘাতে গুজরাতের মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী মঙ্গলবার জানিয়েছেন, সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের রাজকোট এবং ভাবনগর জেলার গরিয়াধরের পাশাপাশি দক্ষিণ গুজরাতের বলসাড জেলার ভাপিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হয়েছে, আনুষঙ্গিক নানা ক্ষয়ক্ষতিও। এই পরিস্থিতিতে বুধবার গুজরাত এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিউয়ের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার বিকেল থেকেই সৌরাষ্ট্র উপকূল জুড়ে শুরু হয়েছিল ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে পড়ছিল বৃষ্টিও। রাত যত বেড়েছে, প্রকৃতির তাণ্ডবও বেড়ে চলেছে ততই। রাত ৯টা নাগাদ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিউ এবং গুজরাতের গির-সোমনাথ জেলার উনার মধ্যবর্তী স্থানে প্রবেশ করে টাউটে। এক সময় হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছে যায় ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটারে। মঙ্গলবার ভোরে ঝড়ের গতিবেগ কিছুটা স্তিমিত হয়। বেলা ১২টার পরে দুর্যোগ কমে যায়।
গুজরাত সরকারের দেওয়া হিসেব বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় সাড়ে ৬৯ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ। ক্ষতি হয়েছে ১৯৬টি রাস্তার। মুখ্যমন্ত্রী রূপাণী জানিয়েছেন, প্রবল ঝড় এবং বৃষ্টিতে অন্তত সাড়ে ১৬ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি গাছ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার রাজধানী গাঁধীনগরে ‘স্টেট এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার’ (এসইওসি)-তে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ এবং উদ্ধারের কাজের অগ্রগতির খবর নেন দুর্যোগ কবলিত জেলাগুলি থেকে। গুজরাতের পাশের রাজ্য মহারাষ্ট্রেও বেশ কিছু প্রাণ কেড়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। আরব সাগর এবং দক্ষিণ ভারতের বঙ্গোপাসাগর উপকূলবর্তী রাজ্যগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২৭ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। নিখোঁজের সংখ্যা তার তিন গুণেরও বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy