পারাপার জমে যাওয়া ডাল লেক।—ছবি পিটিআই।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে রবিবার দিল্লি, হরিয়ানা ও পাশ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে কড়া সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় রেল, বিমান ও যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে।
গত কাল রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা কিছুটা কমায় দৃশ্যমানতাও বাড়ে আজ। তা সত্ত্বেও আজ অন্তত ৬ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে ১৩টি ট্রেন। তবে বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা পাবে দিল্লি।
আজ সকালে ‘রেড কোডেড’ সতর্কতা জারি হয়ে পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে। আবহাওয়া চরম অবস্থায় পৌঁছলে সাধারণ মানুষকে সাবধান করার জন্য এ ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়। বিদর, ছত্তীসগড়, বিহার, গুজরাত, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশের কিছু কিছু অঞ্চল আজ শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়ে। আগামিকাল, সোমবার পর্যন্ত এই অবস্থাই চলবে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: ঠান্ডার মোকাবিলায় ফের ধেয়ে আসছে ঝঞ্ঝা
এ দিকে, প্রবল ঠান্ডায় আজ জমে গিয়েছে ডাল লেকের জল। গত কাল মরসুমের শীতলতম রাত কাটিয়েছে শ্রীনগর। তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। কাশ্মীর ও লাদাখের বেশ কিছু এলাকার তাপমাত্রা আজ হিমাঙ্কের নীচে চলে যায়। ডাল লেকের পাশাপাশি শ্রীনগরে অন্যান্য জলাশয় ও জলের পাইপলাইনও জমে যায় ঠান্ডায়।
শ্রীনগরে সকালের দিকে আকাশ পরিষ্কার থাকছে। কখনও কখনও রোদের দেখাও মিলছে। কিন্তু রাত বাড়লেই স্বাভাবিকের তুলনায় তাপমাত্রা কমপক্ষে চার ডিগ্রি কমে যাচ্ছে। গত কাল রাতে গুলমার্গের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ৬.৬ ডিগ্রি নীচে। তার আগের রাতে তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ৭.৫ ডিগ্রি নীচে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাম ছিল উপত্যকার শীতলতম স্থান। এ দিন হিমাঙ্কের ১০.৪ ডিগ্রি নীচে ছিল তাপমাত্রা। লে-তে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহ যাবৎ শীতের দাপট জম্মুতেও। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের উপরে বানিহালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডোডা জেলার ভদরবাহে তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের ০.৮ ডিগ্রি নীচে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy