পর্যটক টানতে ডিমা হাসাও জেলাকে সাজিয়ে তোলা হবে। রূপবদল হবে পর্যটনকেন্দ্রগুলির। ডিমা হাসাওয়ের প্রশাসনিক সূত্রে এমনই জানানো হয়েছে।
জাটিঙ্গার পাখি দেখতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচুর পর্যটক ডিমা হাসাওয়ে আসেন। জাটিঙ্গায় ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছে পরিযায়ী পাখিরা। আসছেন পর্যটকরাও। প্রশাসনিক সূত্রে খবর মিলেছে, এক সপ্তাহ আগে মুম্বইয়ের দু’জন বিশেষজ্ঞ জাটিঙ্গা ঘুরে গিয়েছেন। আসছেন বিদেশি পর্যটকরাও।
ডিমা হাসাওয়ে পর্যটন শিল্পের ভিত আরও মজবুত করতে পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার ও উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ। উমরাংশুর পানিমোর জলপ্রপাত, গলফ কোর্স, কপিলি হ্রদ, জাটিঙ্গা, বার্ড ওয়াচিং সেন্টার, হাফলং শহরের বোটানিক্যাল গার্ডেন, হাফলং হ্রদ, জিনাম ভ্যালি, মাইবাং এক পাথরের বাড়ি, ডিমাসা রাজার রাজবাড়ি, হাংরুমে রানি গাইদিলিউর স্মৃতিসৌধকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যবাহী সদস্য দেবলাল গারলোসা জানান, ডিমা হাসাওয়ে আরও বেশি পর্যটক টানতে চায় স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদ। সে দিকে তাকিয়ে উমরাংশু পানিমোরে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। ‘দিসরু কমিউনিটি হোম স্টে’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সে জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা ও উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদের প্রধান সচিব রমেশ থাওসেন পানিমোর ঘুরে দেখেছেন।
প্রশাসনের বক্তব্য, এক সময় জঙ্গি সমস্যার জেরে ডিমা হাসাও জেলায় পর্যটকরা আসতে ভয় পেতেন। ২০০৯ সালে ডিএইচডি জঙ্গিরা অস্ত্রসমর্পণ করে মুলস্রোতে ফিরে আসার পর জেলায় শান্তি ফেরে। শুরু হয় উন্নয়নমুলক কাজকর্ম। বর্তমানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অনেক বদলেছে। হাফলং শহরে হোটেল, অতিথিনিবাস তৈরি হয়েছে। সরকারি আবাসনগুলিকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। ব্রডগেজে যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার
জেরেও পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে ডিমা হাসাও জেলায়।
বন বিভাগের ডিএফও রাজীব বরুয়া বলেন, ‘‘জাটিঙ্গার পরিযায়ী পাখি দেখতে এ বার প্রচুর পর্যটক আসতে পারেন।’’