ভারতকে আক্রমণের দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে, তাদের সমুচিত শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব তাঁর উপরেই বর্তায়। রবিবার এমনই জানালেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে খুব ভাল করে জানেন। তাঁর কাজের ধরন এবং দায়বদ্ধতার বিষয়েও আপনারা অবহিত। তাই আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আপনারা যা চান, তা-ই হবে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছেন রাজনাথ। বলেছেন, “জওয়ানদের পাশে দাঁড়ানো এবং যাঁরা আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাচ্ছে, তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।” তবে নিজের বক্তব্যে কোথাও পহেলগাঁও কিংবা পাকিস্তানের নাম নেননি রাজনাথ। তবে নাম না-করে তিনি যে পাকিস্তানের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন, তা স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, মোদী সরকারের আমলেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এবং ‘এয়ার স্ট্রাইক’ চালিয়েছিল ভারত। কিন্তু পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাক যোগ নিয়ে সরব হলেও এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক কোনও পদক্ষেপ করেনি ভারত। আপাতত একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেই ইসলামাবাদকে কঠোর বার্তা দেওয়ার পথে হেঁটেছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে রাজনাথের ‘যা চান, তা-ই হবে’ বার্তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। প্রথমে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠী ‘লশকর-এ-ত্যায়বা’র ‘ছায়া সংগঠন’ টিআরএফ। যদিও পরে দায় অস্বীকার করে তারা। এই ঘটনায় ভারত আঙুল তুলেছে পাকিস্তানের দিকে। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, “আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে। আমরা শুধুমাত্র এই হামলার অপরাধীদেরই নয়, পর্দার আড়ালে থেকে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করব। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা শীঘ্রই এর জোরালো এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখতে পাবে।”