ভোটের ফল আসবে শনিবার। কিন্তু জিতলে বিজেপিতে যোগদানের ‘প্রস্তাব’ আজ থেকেই তাঁদের বিধায়কদের কাছে আসছে বলে সরব হলেন আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব। এ দিকে, বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দিল্লিতে ৬০.৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে সেই সংখ্যাই ভোটদানের চূড়ান্ত হার কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি কমিশন। পাঁচ বছর আগে দিল্লিতে ভোট পড়েছিল ৬২.৮ শতাংশ।
আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ আজ দাবি করেছেন, বিধানসভা ভোটে তাঁদের সাত জন প্রার্থীকে জেতার পরে বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আপ আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দাবি, বিজেপিতে গেলে ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের প্রার্থীদের। বুথ-ফেরত সমীক্ষা মিলবে না জেনেই আপের বিধায়ক কিনতে বিজেপি এখন থেকে মাঠে নেমে পড়েছে বলে কেজরীওয়াল-সঞ্জয়দের অভিযোগ।
আপ নেতৃত্ব সমীক্ষার ফল নিয়ে সন্দিহান হলেও আজ যে দু’টি বুথফেরত সমীক্ষার ফল সামনে এসেছে, তা-ও বিজেপির পক্ষে গিয়েছে। গত কালের একটি সংস্থা বাদ দিলে অধিকাংশ সমীক্ষা বলছে, এ বছর পরাজয় নিশ্চিত কেজরীওয়ালের। প্রায় আড়াই দশক পরে রাজধানীতে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। আজ যে দু’টি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে টুডেজ়-চাণক্য সংস্থা বলছে, বিজেপি ৫১টির কাছাকাছি আসন পেতে চলেছে। আপ পেতে চলেছে মাত্র ১৯টি আসন। অন্য সংস্থা, অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার করা সমীক্ষাতেও এগিয়ে রাখা হয়েছে বিজেপিকে। ওই সংস্থার দাবি, মোট ৪৮ শতাংশ দিল্লিবাসীর ভোট পেয়ে ৪৫-৫৫টি আসনে জিততে চলেছে বিজেপি। সেখানে আপ জিতছে ১৫-২৫টি আসনে। ভোট পাচ্ছে ৪২ শতাংশ। অর্থাৎ আপের থেকে বিজেপির ভোটপ্রাপ্তির হার ছয় শতাংশ বেশি। এই সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তৃতীয় দল হিসেবে সাত শতাংশ ভোট পাবে কংগ্রেস।
রাজনীতিকদের মতে, বিরোধী ভোটের ভাগাভাগি সুবিধা করে দিয়েছে বিজেপিকে। তবে দশ বছর ক্ষমতায় থাকা আপকে যে ভাবে বুথফেরত সমীক্ষায় কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তা মানতে পারছেন না নয়াদিল্লি কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সন্দীপ দীক্ষিত। তাঁর কথায়, ‘‘সম্ভবত বিজেপিই জিতবে। কিন্তু বুথফেরত সমীক্ষায় যে ভাবে আপকে গুরুত্বহীন করে দেখানো হয়েছে, তা ঠিক নয়। বুথফেরত সমীক্ষায় আপের পরিস্থিতি দিল্লিতে যতটা খারাপ দেখানো হয়েছে, ততটা কিন্তু নয়।’’ আপ ভাল লড়াই দেবে বলেই প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ মনে করছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)