ভারতের নাগরিক হওয়ার আগেই নাকি দেশের ভোটার তালিকায় নাম ছিল কংগ্রেসনেত্রী সনিয়া গান্ধীর! এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয়েছে। সেই আবহে সনিয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের অনুমতির আবেদন জানিয়ে দিল্লির এক আদালতে মামলা হয়। তবে সেই মামলা খারিজ করে দিল আদালত।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোটার তালিকায় সনিয়ার নাম তোলা হয়েছিল, গত মাসে এমন অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় প্রধান অমিত মালবীয়। এক্স হ্যান্ডলে তাঁর পোস্টের পরই বিতর্কের সূত্রপাত। অমিতের অভিযোগ ছিল, খাতায়কলমে ভারতের নাগরিক হওয়ার আগেই নাকি ভোটার তালিকায় নাম উঠে গিয়েছিল সনিয়ার! সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নিজের দাবির সপক্ষে প্রামাণ্য ‘নথি’ও দেখিয়েছিলেন অমিত।
বিজেপি নেতার দাবি ছিল, ৪৫ বছর আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ‘আঁতাঁত’ করে ভোটার তালিকায় জালিয়াতি করেছেন সনিয়া। অভিযোগ, সে সময় তিনি ভারতের নাগরিকও হননি। কিন্তু তার আগেই অবৈধ ভাবে ভোটার তালিকায় নাম উঠে গিয়েছিল তাঁর। প্রামাণ্য নথি হিসাবে ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকার একটি ছবি (যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) পোস্ট করেন অমিত।
১৯৪৬ সালে ইটালিতে জন্ম সনিয়ার। পিতৃদত্ত নাম ছিল সনিয়া মাইনো। ১৯৬৮ সালে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে বিবাহের পর গান্ধী পরিবারের অংশ হয়ে ওঠেন ইটালির মেয়ে। বিজেপির দাবি, ১৯৮০ সালে লোকসভা ভোটের আগে প্রথম বার নয়াদিল্লি কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম ওঠে সনিয়ার। সে সময় গান্ধী পরিবার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি বাসভবনেই থাকত। বিজেপির আরও দাবি, ১৯৮২ সাল পর্যন্ত সনিয়ার নাম ভোটার তালিকাভুক্ত ছিল। অথচ তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পান ১৯৮৩ সালে।
আরও পড়ুন:
অমিতের এই পোস্টকে হাতিয়ার করে সরব হয় বিজেপি। শুধু তা-ই নয়, বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্তও। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সনিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা হয়। আবেদনকারী জানিয়েছিলেন, ১৯৮৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সনিয়ার ভারতীয় নাগরিকত্ব না-থাকা সত্ত্বেও, ১৯৮০ সালের ১ জানুয়ারি ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার আদালত মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দেয়।