Advertisement
E-Paper

দিল্লির বিস্ফোরণে কী যোগ ‘ফরিদাবাদ মডিউল’-এর? তিন চিকিৎসক-সহ চার অভিযুক্তকে হেফাজতে পেল এনআইএ

গত ১৫ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আদিল। শ্রীনগরে জইশের পোস্টার সাঁটানোর সময় তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। তার পরে একে একে আরও চিকিৎসকের নাম উঠে আসে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৮
দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয় গত ১০ নভেম্বর।

দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয় গত ১০ নভেম্বর। — ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত চার অভিযুক্তকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হেফাজতে পাঠাল আদালত। তদন্তকারী সংস্থা ধৃতদের ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। তবে দিল্লির আদালত তাঁদের ১০ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণের ঠিক আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় অস্ত্রশস্ত্রও। এই দুই ঘটনাই পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লির আদালতে আবেদন জানায় এনআইএ। বিচারক অঞ্জু বাজাজ চন্দনা অভিযুক্তদের ১০ দিনের এনআইএ হেফাজত মঞ্জুর করেন।

এই চার অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনই চিকিৎসক। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা চিকিৎসক মুজ়াম্মিল শাকিল গণি, অনন্তনাগের বাসিন্দা চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথর, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা চিকিৎসক শাহীন সঈদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। চতুর্থ অভিযুক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান থেকে ধৃত মুফতি ইরফান আহমেদ। দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগেই এই অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হয়েছেন। এরা প্রত্যেকেই ফরিদাবাদ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

গত ১৫ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আদিল। শ্রীনগরে জইশের পোস্টার সাঁটানোর সময় তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল একটি ‘এনজিও’-র আড়ালে কাশ্মীরে ষড়যন্ত্রের ছক কষা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই কাশ্মীরের শ্রীনগর, অনন্তনাগ, শোপিয়ানে তল্লাশি চালানো হয়। এ ছাড়া, হরিয়ানা পুলিশের সহযোগিতায় ফরিদাবাদে এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সহযোগিতায় সাহারানপুরে হানা দেন কাশ্মীরের তদন্তকারীরা।

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আদিলকে জেরা করেই পুলওয়ামার বাসিন্দা মুজ়াম্মিলের নাম উঠে আসে। পেশায় চিকিৎসক মুজ়াম্মিল কর্মসূত্রে হরিয়ানার ফরিদাবাদে থাকতেন ভাড়া বাড়িতে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, তাঁর সাহায্যেই কাশ্মীর থেকে ফরিদাবাদে বিস্ফোরক নিয়ে যান আদিল। তদন্তকারীদের অভিযানের সময়ে একটি গাড়ি থেকে একে-৪৭ পাওয়া গিয়েছিল। সেই গাড়িটি ছিল চিকিৎসক শাহিনের নামে। তিনিও কর্মসূত্রে থাকতেন ফরিদাবাদেই।

Delhi Blast NIA Delhi Court Faridabad
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy