Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Manish Sisodia

Liquor: লেফটেন্যান্ট গভর্নর বৈজলের ভুলে মদের রাজস্ব হাতছাড়া, দাবি দিল্লির আবগারিমন্ত্রীর

কেজরীবাল সরকারের বিরুদ্ধে নয়া নীতি প্রণয়নে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন বৈজল। তাঁর উত্তরসূরি ভিকে সাক্সেনা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।

দিল্লির আবগারিমন্ত্রী সিসৌদিয়া।

দিল্লির আবগারিমন্ত্রী সিসৌদিয়া। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২২ ১৪:৫৭
Share: Save:

লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদে থাকাকালীন নয়া আবগারি নীতির বদল করে দিল্লি সরকারের বহু কোটি টাকা রাজস্বের ক্ষতি করেছেন অনিল বৈজল। শনিবার এই অভিযোগ করেছেন, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারিমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। তিনি বলেন, ‘‘লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দফতরের পদক্ষেপে কিছু মদের দোকানদার বহু টাকা মুনাফা করেছে। এবং সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে।’’

২০২১ সালের নভেম্বরে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার যখন নতুন আবগারি নীতি চালু করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন তখন বৈজল দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন। সিসৌদিয়া বলেন, ‘‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, প্রতিটি এলাকায় সম অনুপাতে দোকান থাকবে। আগে কোনও এলাকায় একটিও মদের দোকান ছিল না, কোথাও ছিল ২০টি।’’

দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে সিসৌদিয়ার দাবি, ‘‘সে সময় নয়া আবগারি নীতির খসড়া দেখে আপত্তি তোলেননি বৈজল। তাতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছিল, কোনও অবস্থাতেই দোকানের সংখ্যা ৮৪৯-এর বেশি হবে না। বৈজল বিলের খসড়া ভাল করে পড়ে তাতে সায় দিয়েছিলেন। কিন্তু এর পর তিনি বিভিন্ন অনথিভুক্ত কলোনি এলাকায় মদের দোকান খোলার বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেন দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ডিডিএ) এবং পুরসভা কর্তৃপক্ষকে।’’ বৈজলের ওই সিদ্ধান্তের ফলে দিল্লি সরকার বহু টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বলে জানান তিনি।

কেজরীবাল সরকারের আবগারি দফতর নতুন মদের দোকান চালু করলেও লাইসেন্স বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন বৈজল। তাঁর উত্তরসূরি ভিকে সাক্সেনা এ বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এই পরিস্থিতিতে পুরনো আবগারি নীতিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় কেজরীবাল সরকার। এর ফলে সোমবার থেকে ব্যক্তি মালিকানাধীন ৪৬৮টি মদের দোকান বন্ধ হয়েছে দিল্লিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE