(বাঁ দিকে) পায়েল আবদুল্লা-ওমর আবদুল্লা। — ফাইল চিত্র।
নিম্ন আদালতের পর দিল্লি হাই কোর্ট। স্ত্রী পায়েল আবদুল্লার থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সেই আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাই কোর্ট। ১৯৯৪ সালে পায়েলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওমরের। ২০০৯ সাল থেকে আলাদা থাকেন তাঁরা। দুই ছেলে রয়েছে তাঁদের।
এর আগে পরিবার আদালত ওমরের বিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করেছিল। সেই রায়ই বহাল রাখল দিল্লি হাই কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব এবং বিচারপতি বিকাশ মহাজনের বেঞ্চ জানিয়েছে, পরিবার আদালতের রায়ে কোনও ছিদ্র তাঁদের চোখে পড়েনি। স্ত্রীর বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন ওমর। সেই অভিযোগেরও কোনও ‘ভিত্তি’ নেই বলে জানিয়েছে বেঞ্চ। তারা বলেছে, এই অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি ওমর।
ওমর স্ত্রীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁদের বিয়ে ‘ভেঙে গিয়েছে, যার পরিবর্তন সম্ভব নয়’। স্ত্রীর বিরুদ্ধে হিংসা আরোপের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ২০০৭ সাল থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে থাকেননি পায়েল এবং তিনি। যদিও পারিবারিক আদালত জানিয়েছে, ওমর নিজের অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
স্ত্রীকে প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা অন্তর্বর্তী খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশও ওমরকে দিয়েছিল পারিবার আদালত। ২০১৮ সালের এপ্রিলে আদালত জানিয়েছিল, পায়েলকে প্রতি মাসে ৭৫ হাজার টাকা অন্তর্বর্তী খোরপোশ দিতে হবে। পরে সেই টাকার অঙ্কই বৃদ্ধি করেছিল আদালত। পাশাপাশি, দুই সন্তানকে পড়াশোনার খরচ হিসাবে ওমরকে মাসে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল পরিবার আদালত। যদিও দুই ছেলেই আর নাবালক নন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy