দিল্লিতে ২০২০ সালের হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদ ও শারজিল ইমামের জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে ধৃত আরও সাত অভিযুক্তের জামিনের আর্জি মঙ্গলবার খারিজ করা হয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ওই হিংসার ঘটনায় উমর, শারজিলদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করেছিল দিল্লি পুলিশ। গত বছর মে মাসে এই মামলায় দিল্লির করকরডুমা আদালত উমরদের জামিনের আবেদন নাকচ করেছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিযুক্তেরা বিচারপতি নবীন চাওলা এবং বিচারপতি শালিন্দর কৌরের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিলেন।
এই মামলায় উমর-শারজিলের সহ-অভিযুক্তেরা হলেন আতহার খান, খালিদ সাইফি, মোহাম্মদ সেলিম খান, শিফা উর রহমান, মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শাদাব আহমেদ। এঁর মধ্যে শারজিল-সহ কয়েক জন আগে নিম্ন আদালতে ২০১৯ সালের একটি হিংসা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটে, যাতে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৭০০-র বেশি। ওই ঘটনায় উমরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই থেকে তিনি জেলে আছেন।
আরও পড়ুন:
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উমরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশ দাবি করেছিল, হিংসার ঘটনায় ‘অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী’ উমর। ‘উস্কানিমূলক’ বক্তৃতা করার অভিযোগে জেএনইউয়ের প্রাক্তন এই গবেষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন উমর। সেখানে আর্জি খারিজ হলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান। উমরের মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র। পরে উমর নিজেই শীর্ষ আদালত থেকে জামিনের আর্জি প্রত্যাহার করে দিল্লির করকরডুমা আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই আবেদন গত বছর খারিজ হয়েছিল। অন্য দিকে, শারজিলের বিরুদ্ধে হিংসাপর্বের সময় দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার অভিযোগ রয়েছে।