Advertisement
E-Paper

জানা গেল না সিন্ধু সভ্যতার খাদ্যাভ্যাস

জাতীয় মিউজিয়ামে আমিষ খাবারের প্রচলন নেই উদ্যোক্তারা তা জানতেনই না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৪৯
দিল্লির জাতীয় মিউজিয়াম।—ছবি সংগৃহীত।

দিল্লির জাতীয় মিউজিয়াম।—ছবি সংগৃহীত।

কেমন ছিল সিন্ধু সভ্যতায় মানুষের খাদ্যাভ্যাস! কী খেতেন তাঁরা— কাঁচা না সুসিদ্ধ? রান্না হত কী ভাবে— তেল-মশলা সহযোগে নাকি শুধুই সেদ্ধ? এমন তথ্য অনেকেরই অজানা। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক, জাতীয় মিউজিয়ামের সহযোগিতায় দিল্লিবাসীকে সিন্ধু সভ্যতার সময়ের খাবারের স্বাদ চেখে দেখার সুযোগ করে দিতে উদ্যোগী হয়েছিল রাজধানীর একটি বেসরকারি খাবার সংস্থা। কিন্তু আমিষ-নিরামিষের চক্কর লক্ষ্যপূরণ হল না।

জাতীয় মিউজিয়ামে আমিষ খাবারের প্রচলন নেই উদ্যোক্তারা তা জানতেনই না। তাই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ গেল মাছ-মাংস ও শুঁটকি মাছের তৈরি নানা পদ। স্থান পেল কেবল নিরামিষ পদগুলিই।

দিল্লির জাতীয় মিউজিয়ামে গত কাল থেকে শুরু হয়েছে ‘হিস্টরিকাল গ্যাস্ট্রোনমিকা— দ্য ইন্ডাস ডাইনিং এক্সপিরিয়েন্স’। চলবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সিন্ধু সভ্যতার মানুষ কী ধরনের খাবার খেতেন, তা অনুমান করে খাদ্যতালিকা তৈরি করেছিল আয়োজক সংস্থা। তাতে নিরামিষ খাবারের পাশাপাশি, ছিল মাছের ঝোল, শাল পাতায় দেশি মুরগির রোস্ট, মাংসের স্টু, ভেড়ার মেটে চচ্চড়ি, শুঁটকি মাছের মতো নানা আমিষ পদ। কিন্তুই আমন্ত্রণ পত্র হাতে পেতেই প্রমাদ গোনেন মিউজিয়ামের আধিকারিকেরা। জানিয়ে দেন, মিউজিয়াম চত্বরে আমিষ খাবারের প্রবেশ নিষেধ।

যে উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি তা পূরণ না-হওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের উপরই দায় চাপিয়েছেন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। জাতীয় মিউজিয়ামের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘মিউজিয়ামের ৫০ বছরের ইতিহাসে কখনও কোনও অনুষ্ঠানে আমিষ খাবার পরিবেশন হয়নি। মিউজিয়ামের ক্যান্টিনেও আমিষ খাবার পাওয়া যায় না। আয়োজক সংস্থা তা জানত না। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই সংস্থাকে আমিষ খাবারের পদ তালিকা থেকে বাদ দিতে বলা হয়।’’

Delhi National Museum Indus Civilisation Food Event
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy