Advertisement
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Delhi Murder and Marriage

কোনও গোলমাল হচ্ছে! সন্দেহ হতেই পুলিশকে খবর দেন নিক্কি-সাহিলের বন্ধু, দাবি পুলিশ সূত্রে

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাহিল তাঁর বিয়ের পর নিকির দেহ লোপাট করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু নিক্কি-সাহিলের ওই বন্ধুর সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন।

Nikki Yadav and Sahil Gahlot’s common friend informed about Nikki’s murder.

অভিযুক্ত প্রেমিক সাহিল গহলৌত এবং নিহত প্রেমিকা নিক্কি যাদব। ফাইল চিত্র ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৫৬
Share: Save:

অভিযুক্ত প্রেমিক সাহিল গহলৌত যে প্রেমিকা নিক্কি যাদবকে খুন করেছেন, সেই তথ্য পুলিশকে দিয়েছিল তাঁদেরই এক বন্ধু। দিল্লির ২২ বছরের তরুণী নিক্কি হত্যাকাণ্ডের জট খুলতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সাহিল এবং নিক্কি—দু’জনেরই বন্ধু পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি পুলিশকে খুনের ব্যাপারে অবহিত করেন। আর সেই সূত্রে ধরেই গ্রেফতার হন সাহিল।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাহিল তাঁর বিয়ের পর নিকির দেহ লোপাট করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু নিক্কি-সাহিলের ওই বন্ধুর সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন। এর পরই তদন্তে নেমে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ধাবার ফ্রিজ থেকে নিক্কির দেহ উদ্ধার করে সাহিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের সূত্রটি জানিয়েছে, সাহিলের হাবভাব দেখেই নাকি তাঁর মনে হয়েছিল যে কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। আর সেই কারণেই তিনি পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, খুনের পর নিক্কির মোবাইল ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলেন অভিযুক্ত প্রেমিক সাহিল। পুলিশ ইতিমধ্যেই নিক্কির ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। মুছে ফেলা তথ্য পুনরুদ্ধার করতে এই ফোন ফরেন্সিকে পাঠানো হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে গাড়ির ভিতরে মোবাইল ফোনের ডেটা কেবলের তার নিক্কির গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন সাহিল। ধাবার ফ্রিজে ভরে দেওয়া হয় সেই দেহ। এর পর হাত-মুখ ধুয়ে ধোপদুরস্ত বিয়ের পোশাকে অন্য মহিলাকে বিয়ে করতে বেরিয়ে যান তিনি। নিক্কিকে খুনের আগে সাহিল ঝাঁ-চকচকে পার্টির মাধ্যমে বাগ্‌দান পর্ব সেরেছিলেন বলেও পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাহিল জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে পছন্দ করা মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য তাঁকে ক্রমাগত জোর করা হচ্ছিল। তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে, ওই মুহূর্তে তিনি ঠিক কী করবেন। একত্রবাসের সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবেন, না কি পরিবারের সদস্যদের কথা মেনে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবেন। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন সাহিল। কাশ্মীরি গেট আইএসবিটি-র কাছে পৌঁছনোর পর গাড়ির মধ্যে নিক্কির সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় সাহিলের। বিয়ে নিয়ে আগে থেকেই মাথাগরম ছিল তাঁর। তার উপর নিক্কি ঝগড়া শুরু করে দেওয়ায় আর শান্ত থাকতে পারেননি সাহিল। তখনই রাগের মাথায় নিক্কিকে তিনি খুন করেন বলে জানিয়েছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির বাসিন্দা সাহিলকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই চলছে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ। উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE