Advertisement
E-Paper

প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন বা তাতে অংশগ্রহণ করা তো অপরাধ নয়! দিল্লি হিংসার মামলায় সওয়াল অভিযুক্তের

বৃহস্পতিবার দিল্লি হিংসা মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। আগামী মঙ্গলবার ফের এই মামলাটি শুনবে আদালত। ওই দিন দিল্লি পুলিশের তরফের বক্তব্য শোনা হবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৪২
দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত মামলার বৃহস্পতিবার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে।

দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত মামলার বৃহস্পতিবার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। —প্রতীকী চিত্র।

প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা বা তাতে অংশগ্রহণ করা কোনও অপরাধ নয়। দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই দাবি করলেন অন্যতম অভিযুক্ত শাদাব আহমেদ। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়ার্ধে মামলাটি উঠলে অল্প সময়ের জন্যই শুনানি হয়। আগামী মঙ্গলবার ফের এই মামলাটি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।

২০২০ সালের দিল্লি হিংসা মামলায় উমর খালিদ, শারজিল ইমামদের পাশাপাশি অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন শাদাবও। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে শাদাবের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা। তিনি আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের বয়স মাত্র ২৭ বছর। তাঁর বক্তব্য, সাক্ষীরা জানিয়েছেন এক বিরিয়ানির দোকানে তাঁর মক্কেলকে ষড়যন্ত্র করতে শুনেছেন তাঁরা। ওই সাক্ষীদের মধ্যে এক জন তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, শাদাব বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করতেন এবং সেগুলিতে অংশগ্রহণ করতেন। সেই প্রসঙ্গে লুথরা এজলাসে সওয়াল করেন, কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন বা তাতে অংশগ্রহণ করা তো অপরাধমূলক কাজ নয়।

আগামী মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। ওই দিন দিল্লি পুলিশের তরফের বক্তব্য শোনা হবে। প্রথমে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানান, তাঁরা আগামী সোমবার দুপুরে ফের এই মামলাটি শুনবেন। তখন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, ওই দিন তাঁর অন্য একটি মামলার শুনানি রয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য্য করে আদালত।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষপর্বে দিল্লিতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন গোষ্ঠীহিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তাতে ৫৩ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৭০০-র বেশি। ছাত্রনেতা উমর, শারজিল ছাড়াও ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শিফা উর রহমান। দিল্লি হাই কোর্ট গত ২ সেপ্টেম্বর জামিনের আর্জি নাকচ করার পরে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি অভিযুক্তেরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি কুমার এবং বিচারপতি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চে যায় জামিনের আবেদন।

Supreme Court Delhi Violence Delhi Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy