উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে র্যাফের টহলদারি। ছবি: পিটিআই।
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার রেশ কাটতে না-কাটতেই রবিবার সন্ধ্যায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের আতঙ্ক ছড়াল পশ্চিম দিল্লি ও দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লিতে। দিল্লি পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, পুরোটাই গুজব। কোথাও কোনও সংঘর্ষ হয়নি।
আজই উত্তর-পূর্ব দিল্লির গোকুলপুরীর দু’টি নালা থেকে তিনটি দেহ ও শিব বিহারের এক নালা থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬। যদিও প্রশাসনের বক্তব্য, ওই চার জনের মৃত্যুর সঙ্গে সংঘর্ষের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে আজ পশ্চিম দিল্লির তিলকনগর ও রাজৌরি গার্ডেনে অশান্তির গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রথমে তিলকনগর মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পরে পশ্চিম উত্তমনগর, তুঘলকাবাদ, বদরপুর, সুরজমল স্টেডিয়াম, নাঙ্গলোই মেট্রো স্টেশনে ঢোকা-বেরোনোর পথও বন্ধ হয়ে যায়। দোকানে, শপিং মলে ঝাঁপ বন্ধ হতে থাকে। হুড়োহুড়ি করে বাড়ি ফিরতে থাকেন সাধারণ মানুষ।
ঘণ্টাখানেক পরে ফের মেট্রো স্টেশন খোলা হয়। দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (পশ্চিম রেঞ্জ) শালিনী সিংহ রাস্তায় নেমে পড়েন। জনতাকে গুজবে কান না-দিতে অনুরোধ করে পুলিশ। বিভিন্ন সম্প্রদায় মিলে তৈরি ‘আমন কমিটি’-র নেতাদেরও সক্রিয় হতে বলা হয়। সংঘর্ষের খবর উড়িয়ে দেন আপ নেতারাও। রাতে বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অনেক পাড়াতেই রাত-পাহারায় নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, খায়ালা-য়সাট্টা কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময়ে গুলি চলা নিয়েই গুজব ছড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারা গুজব ছড়িয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy