Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Delhi Violence

দেশে থাকার অধিকার নেই!

গত ২২ বছর যাবৎ সিআরপিএফ-এ ছিলেন আয়েশ। ২০০২ সালে হেড কনস্টেবল হিসেবে অবসর নিয়েছেন।

উত্তর-পূর্ব দিল্লি। ছবি: পিটিআই।

উত্তর-পূর্ব দিল্লি। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ০৫:৫৯
Share: Save:

দেশের মানুষের প্রাণ রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই ‘দেশবাসীই’ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে হামলা চালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তাঁর বাড়িঘর। তার পর থেকে গৃহহীন, সম্বলহীন অবস্থায় উত্তর-পূর্ব দিল্লির অস্থায়ী শিবিরে রাত কাটাচ্ছেন সিআরপি-র এই প্রাক্তন কর্মী। দিল্লি-হিংসায় আক্রান্ত বছর আটান্নর আয়েশ মহম্মদ এখন ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন, ‘‘এ দেশে থাকার কি কোনও অধিকার নেই তাঁর?’’

গত ২২ বছর যাবৎ সিআরপিএফ-এ ছিলেন আয়েশ। ২০০২ সালে হেড কনস্টেবল হিসেবে অবসর নিয়েছেন। সন্ত্রাসে আক্রান্ত আরও শতাধিক মানুষের সঙ্গে গত এক সপ্তাহ মুস্তাফাবাদের এক শিবিরে কাটাচ্ছেন তিনি। অদূরেই ভাগিরথী বিহারে তাঁর বাড়ি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জ্বালিয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। গত সপ্তাহে হিংসা ছড়ানোর পরে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল এই ভাগিরথী বিহার। তিনি বলেছেন, ‘‘২০০-৩০০ সংঘর্ষকারী হানা দিয়ে পাথর আর গুলি ছুড়ছিল। বাড়ি বাড়ি আগুন লাগিয়ে দেয় ওরা। ২৬ বছরের ছেলেকে নিয়ে আমি ঘরের ভিতরে ছিলাম। ছাদে গিয়ে প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে ঝাঁপ মারি। আমার ভাইঝির বিয়ে সামনে। ঘরে অনেক গয়না ছিল। ওরা সব লুট করে নেয়।’’

বুলন্দশহরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে পাঠিয়ে দিয়েছেন আয়েশ। তাঁর বাড়ির এক তলাটি পুড়ে গিয়েছে। সঙ্গে পুড়েছে দু’টি মোটরবাইক-সহ ঘরের সব জিনিসপত্র। বাড়িতে যা কিছু সামান্য বেঁচে রয়েছে তা উদ্ধার করার জন্য রয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রাক্তন ওই আধাসেনার কথায়, ‘‘১৯৯১ সালে কাশ্মীরে ছিলাম। শত্রুপক্ষের আক্রমণে ঘায়েল হয়েছি। এ বার যেভাবে আমাদের উপরে হামলা চালানো হল, তাতে মনে হচ্ছে এ দেশে থাকার কোনও অধিকারই আমার নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Violence CAA Protest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE