ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা বাড়ানোর ব্যাপাের প্রতিশ্রুতি অর্থমন্ত্রী দেননি। প্রতীকী ছবি।
জিএসটির ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা আরও দু’বছর বাড়ানোর দাবি আবার উঠল। আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আগামী বাজেটের প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই বকেয়া ক্ষতিপূরণ মেটানোর দাবি ওঠে। সঙ্গে ওঠে জিএসটি ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা দু’বছর বাড়ানোর দাবিও। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় করের সঙ্গে সেস-সারচার্জ মিশিয়ে দেওয়ার দাবিও তোলেন অর্থমন্ত্রীরা। অভিযোগ, কেন্দ্র পেট্রল-ডিজ়েলে সেস বাবদ রাজ্যগুলির সঙ্গে ভাগ করা হয় না। সেস-সারচার্জ করের হারের সঙ্গেই মিশিয়ে দেওয়া হোক।
সীতারামনের সামনে বকেয়া ক্ষতিপূরণ মেটানোর দাবি তোলার পরেই আজ অর্থ মন্ত্রক এপ্রিল-জুনের বকেয়া ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৭ হাজার কোটি টাকা রাজ্যগুলিকে মিটিয়ে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পাচ্ছে ৮১৪ কোটি টাকা। জিএসটি চালুর সময়ে ঠিক হয়, যথেষ্ট আয় না-হলে পাঁচ বছরের জন্য কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেবে। জুনেই সেই ব্যবস্থা শেষ হচ্ছে। এখন কোভিডের জেরে রাজ্যগুলি জুনের পরেও মেয়াদ বাড়ানোর দাবি তুলছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, সেস বাবদ মাত্র ৭২ হাজার কোটি টাকার মতো আয় হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র নিজের ঝুলি থেকে অর্থ দিয়ে চলতি বছরে প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দিল। কিন্তু ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা বাড়ানোর ব্যাপাের প্রতিশ্রুতি অর্থমন্ত্রী দেননি।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের দাবি, বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার জেরে সীতারামন এগিয়ে এসে রাজ্যগুলির কোষাগারের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা নিন। তামিলনাড়ু, কেরলের অর্থমন্ত্রীরা বলেন, কেন্দ্র যে ভাবে সেস-সারচার্জ বসিয়ে সেই আয় শুধু নিজের সিন্দুকে ভরছে, তা রাজ্যগুলিকে বিলি করছে না, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরুদ্ধে।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভার অধিবেশনে ব্যস্ত থাকায় অর্থসচিব বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy