Advertisement
E-Paper

নোট-সঙ্কট ছুঁতেও পারেনি এই গ্রামের স্বাভাবিক জীবনকে!

নোট বাতিলের পর দেশজুড়ে যখন লোকজন পাগলের মতো ব্যাঙ্ক আর এটিএমের দ্বারে দ্বারে হত্যে দিচ্ছে, এই দেশেরই এক গ্রাম তখন নিশ্চিন্তে দৈনন্দিন কাজ বজায় রেখেছে। নোট সঙ্কটের মধ্যেও সেখানে নেই কোনও হাতাহাতি, মারামারি, বচসা। না আছে টাকা বদলানো বা টাকা তোলার চাহিদাও।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ১০:২৪
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নোট বাতিলের পর দেশজুড়ে যখন লোকজন পাগলের মতো ব্যাঙ্ক আর এটিএমের দ্বারে দ্বারে হত্যে দিচ্ছে, এই দেশেরই এক গ্রাম তখন নিশ্চিন্তে দৈনন্দিন কাজ বজায় রেখেছে। নোট সঙ্কটের মধ্যেও সেখানে নেই কোনও হাতাহাতি, মারামারি, বচসা। না আছে টাকা বদলানো বা টাকা তোলার চাহিদাও। প্রযুক্তির দিক থেকে এই গ্রামের মানুষ কতটা এগিয়ে, নোটসঙ্কট না এলে বোধহয় কেউ জানতেই পারত না!

আকোদারা। আমদাবাদ থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম। ভারতের প্রথম ‘ডিজিটাল ভিলেজ’। গ্রামে মোট ১২০০ জনের বাস। মূল পেশা কৃষিকাজ। কিন্তু এই গ্রামই এখন দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশের কাছে। সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কী ভাবে স্বাভাবিক ছন্দে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় আকোদারাকে না দেখলে বোঝা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই এই ডিজিটাল গ্রামের উত্থান।

তা কী ভাবে নোটসঙ্কটের মুহূর্তটাকে সামলাচ্ছে এই গ্রামের মানুষ?

এই গ্রামের প্রতিটি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। রয়েছে ই-ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও। যা গ্রামবাসীরা প্রত্যেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকেন। আশ্চর্যের বিষয় এটা যে, এখানে পানের দোকানেও মোবাইল ব্যাঙ্কিং এবং ওয়াই-ফাই পরিষেবা পাওয়া যায়! নগদে খুব কমই কারবার চলে এখানে। কেউ যদি মুদি দোকানে গিয়ে কোনও জিনিস কেনেন, মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমেই দোকানদারের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যায়। সেটা কী ভাবে সম্ভব?

এক গ্রামবাসী জানান, গ্রামে নগদে কোনো লেনদেন হয় না। ই-ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মাধ্যমেই টাকাপয়সা লেনদেন হয়। বিশেষ করে ১০ টাকার বেশি বিল হলেই ই-ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্য নেন তাঁরা। আরও এক গ্রামবাসী জানান, চাল, আটা, গম, দুধ থেকে দৈনন্দিন জীবনযাপনের যাবতীয় জিনিস ই-ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মাধ্যমেই হয়। শুধু গ্রামের বাইরে গেলেই তাঁরা নগদ টাকা নিয়ে যান।

গ্রামের এক ব্যাঙ্ক কর্মী আবার জানিয়েছেন, নোট বাতিলের পর যখন গোটা দেশ টাকার পিছনে ছুটছে, আকোদারা কিন্তু ব্যতিক্রম। নোট বাদলানোর চিন্তা নেই, টাকা তোলারও তাড়া নেই এখানকার মানুষের। প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করে গ্রামবাসীরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে নিচ্ছে।

আরও পড়ুন:
অপেক্ষা চলছেই, এটিএমে দ্রুত টাকার আশ্বাস কেন্দ্রের

Demonetization Akodara Note Ban
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy