আইআইটি মাদ্রাজ বিতর্ক থামার নাম নিচ্ছে না। ছাত্র সংগঠন এপিএসসিকে নিষিদ্ধ করার জন্য ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ বার নোটিস পাঠাল তফসিল জাতি সংক্রান্ত জাতীয় কমিশন (এনসিএসসি)। মোদী সরকারের সমালোচনা করে একটি আলোচনা-সভার আয়োজন করেছিল আইআইটি মাদ্রাজের ছাত্র সংগঠন। সে কথা জানার পরে ওই ছাত্র সংগঠনকে বাতিল করে দেন আইআইটি মাদ্রাজ কর্তৃপক্ষ। যদিও সরকারি ভাবে তাঁরা জানিয়েছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করার দায়ে সাময়িক ভাবে স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে অম্বেডকর পেরিয়ার স্টাডি সার্কেলের (এপিএসসি)। বিষয়টি গত ২২ মে-র হলেও প্রকাশ্যে আসে দিন তিনেক আগে। আর তার পরেই দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে মাঠে নামে কংগ্রেস এবং আপ। সকলেরই বক্তব্য, মোদী বিরোধী আলোচনা-সভার আয়োজন করাতেই কোপে পড়তে হয়েছে ওই ছাত্র সংগঠনকে।
ওই ছাত্র সংগঠনটির বেশির ভাগ সদস্যই দলিত সম্প্রদায়ের। তফসিল কমিশনের চেয়ারম্যান পিএল পুনিয়া আজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার জন্য আইআইটির কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়েছে। পুনিয়ার কথায়, ‘‘এই ধরনের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। আর এটা একেবারেই ছোটখাটো ঘটনা নয়। আমরা আইআইটি কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছি। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিষয়টি নিয়ে আজ মুখ খুলেছেন ডিএমকে প্রধান করুণানিধিও। তাঁর বক্তব্য ওই নিষেধাজ্ঞা তুলতে পারেন এক মাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। করুণানিধি আবার গোটা ঘটনায় নাম না করে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে। আজ সাংবাদিকদের করুণানিধি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজে এই সব তুচ্ছ ঘটনায় নিজেকে জড়াবেন বলে মনে হয় না। অথচ তাঁর বিভিন্ন মন্ত্রক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।’’
তবে গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হাত নেই বলে আজও দাবি করেছে বিজেপি। বিষয়টির সঙ্গে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নের মন্ত্রকের নাম জড়ানোয় স্মৃতি ইরানি আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁর মন্ত্রক ওই ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। আজ তামিলনাড়ুর কাছে অনন্তমঙ্গলমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজেপি জাতীয় সম্পাদক এইচ রাজা। তাঁর কথায়, ‘‘এপিএসসিকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের নয়। এটা একেবারেই আইআইটি মাদ্রাজের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy