ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি তো কলা খাইনি।
এমন অবস্থাই হয়েছে সনিয়া গাঁধীর দল আর তাঁর জামাইয়ের। হরিয়ানার জমি কেলেঙ্কারির তদন্ত রিপোর্ট আসবে-আসবে করেও আজ এল না। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস এন ধিংরা আরও সময় চেয়ে নিলেন এই রিপোর্ট পেশের জন্য। তার আগেই রবার্ট বঢরা ও কংগ্রেস নেতারা মাঠে নেমে পড়লেন বিচারপতি ধিংরা ও বিজেপিকে আক্রমণের জন্য।
ফেসবুক পোস্টে রবার্ট বঢরা লিখেছেন, ‘‘এক দশক ধরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। আমার বিরুদ্ধে তাঁরা কিছু প্রমাণ করতে পারবেন না। আর কোনও কিছুই প্রমাণ করার নেই। আমি জানি, রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্য আমাকে সবসময় ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু সত্যের সঙ্গে মাথা উঁচু করে থেকে আমি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভাবমূর্তির মোকাবিলা করব।’’
রবার্টের এই পোস্টের পরেই কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা সরাসরি আক্রমণ করেন বিচারপতি ধিংরাকে। তাঁর অভিযোগ, হরিয়ানার বর্তমান বিজেপি সরকারের থেকে সুবিধা পেয়েছেন এই বিচারপতিই। এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তের বক্তব্য না শুনেই তিনি কী করে রিপোর্ট দিতে পারেন? এই তদন্ত কমিটি গঠনই ভুল ভাবে হয়েছে।
আসলে গত বছর হরিয়ানায় বিজেপি সরকার আসার পর রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি অভিযোগের তদন্ত করতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার শেষ দিন আজই। ফলে আজ প্রত্যাশা ছিল এই রিপোর্ট জমা পড়বে। গত এক বছরে এই কমিটি রবার্ট বঢরাকে ডেকে পাঠায়নি। পূর্বতন হুডা সরকারের সময় যে আমলা অশোক খেমকা রবার্টের জমি-কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। নিছক নথির ভিত্তিতেই তদন্ত চালিয়ে গিয়েছে কমিটি। যেহেতু বিজেপি সরকার এই কমিটি গঠন করেছিল, তাই কংগ্রেস ধরেই নিয়েছে এর রিপোর্ট যাবে রবার্টের বিরুদ্ধেই। কিন্তু রিপোর্টের সারবস্তু না জেনেই আগেভাগে এর সমালোচনায় নেমে পড়েছেন রবার্ট ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: গাঁধী পরিবারকে কোণঠাসা রাখতে বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র নরসিংহ রাও
বিচারপতি ধিংরা আজ বলেন, ‘‘এটিকে ‘বঢরা-রিপোর্ট’ বলাটা আদৌ ঠিক নয়। কংগ্রেস কী অভিযোগ করল, তাতেও কিছু এসে যায় না। আজই সকালে এক ব্যক্তির থেকে বেনামি লেনেদেন নিয়ে আমি আরও কিছু নথি পেয়েছি। ফলে সেটি খতিয়ে দেখতে আমি আরও ছয় সপ্তাহের সময় চেয়েছি। সরকার সেই অনুমতি না দিলে আমি কালই রিপোর্ট পেশ করে দেব।’’ রবার্ট বঢরার সংস্থায় গরমিল নিয়ে অনেক দিন ধরেই মোদী সরকারের অধীনে থাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্ত করছে। রাজস্থানের জমি নিয়ে তাঁকে নোটিসও দেওয়া হয়েছে। যার পরে রবার্টের স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা সরাসরি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নিশানা করেছিলেন।
প্রচারের মওকা পেয়ে আজ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও আসরে নেমে পড়েছেন। প্রিয়ঙ্কা ও রবার্ট, উভয়ের বিরুদ্ধেই টুইট-হামলা করেছেন তিনি। তবে জমি কেলেঙ্কারির বিষয়ে নয়। প্রিয়ঙ্কাকে ‘বোতল’ (স্বামী মনে করেন, প্রিয়ঙ্কা মদাসক্ত) বলে সম্বোধন করে স্বামী লিখেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। কারণ, প্রিয়ঙ্কা বেআইনি বাড়ি বানাচ্ছেন, হংকং ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে আর রাজীব গাঁধী হত্যাকারীদের সঙ্গে বেআইনি ভাবে দেখা করেছেন। আর রবার্ট বঢরাকে ‘গুন্ডা’ সম্বোধন করে স্বামীর বক্তব্য, তাঁর বাবার তথাকথিত আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য সনিয়া গাঁধীর জামাইয়ের বিরুদ্ধেও মামলা হওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy