Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
shopping

বৈষম্য এখনও প্রকট, স্পষ্ট রিপোর্টে

গবেষণার তথ্যে দেখা গিয়েছে ভারতে জনসংখ্যার মাত্র ২০% কেনাকাটা করছেন। সে জন্য খরচ করছেন দু’হাত ভরে। কিন্তু বাকি ৮০% মানুষ এখনও অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি।

বিত্তবান ২০% মানুষ বেশিরভাগ কেনাকাটা করছেন।

বিত্তবান ২০% মানুষ বেশিরভাগ কেনাকাটা করছেন।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৫১
Share: Save:

রাষ্ট্রপুঞ্জ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট আগেই বলেছে কোভিডকালে ধনীরা আর ধনী হয়েছেন। আর গরিবের দৈন্যদশা বেড়েছে। সমাজের বড় অংশ নতুন করে দারিদ্রসীমার নীচে চলে গিয়েছে। এ বার প্রায় একই ছবি উঠে এল আরও এক সমীক্ষায়। ইউবিএস সিকিউরিটিজ় ইন্ডিয়া তাদের এক রিপোর্টে জানাল, এ সংক্রান্ত গবেষণার তথ্যে দেখা গিয়েছে ভারতে জনসংখ্যার মাত্র ২০% কেনাকাটা করছেন। সে জন্য খরচ করছেন দু’হাত ভরে। তাঁদের জন্যই চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু বাকি ৮০% মানুষ এখনও অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি। ঘুরে দাঁড়ানোয় চেষ্টায় লড়াই অব্যাহত তাঁদের।

ইউবিএস-এর ওই রিপোর্টে তাদের মুখ্য অর্থনীতিবিদ তানভি গুপ্তের দাবি, করোনা দেশের ধনী ভোক্তাদের আয়ের উপরে যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি, সেটা পরিষ্কার। কারণ সব থেকে বিত্তবান ২০% মানুষ বেশিরভাগ কেনাকাটা করছেন। এর মধ্যে ৬৬% শহরের এবং ৫৯% গ্রামাঞ্চলের।

অগস্টে ইউবিএস একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল উঁচু রোজগেরে ১৫০০ জনের মধ্যে। তানভির দাবি, অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকের বেশি সোনা অথবা গয়না কিনেছেন। ৫৫% সম্পত্তিতে লগ্নি করার এবং চার চাকা বা দু’চাকা কেনার পরিকল্পনা করছেন আগামী দু’বছরের মধ্যে। ৫০% শুধু সম্পত্তিই কিনতে চান। অর্থাৎ আগামী দিনেও সমাজের এই অংশের হাত ধরেই বাড়বে চাহিদা। সমীক্ষাটিতে ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ অনুমান করছেন, আগামী বছর তাঁদের আয় বাড়বে। একই রকম ভাবে প্রায় ৭০ শতাংশের আশা, উৎসবের মরসুমে খরচ বাড়ছে। ২০ শতাংশের ধারণা, খরচ স্থিতিশীল নেটে কেনাকাটা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, অনলাইন বিনোদন, মুদি ও খাবারের মতো সংসারের প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে। ভোগ্যপণ্য এবং শিক্ষাতেও তা প্রায় একই। শুধু অংশগ্রহণকারীদের ৯% আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, উৎসবে তাঁদের খরচ-খরচা কমতে পারে।

ইউবিএস-এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, করোনা অসংগঠিত অর্থনীতির ভাগ কেড়ে নিয়ে সংগঠিত অংশের বাজার বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলেই বিত্তবান মানুষ খাবারদাবার, মুদি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিনোদন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডের পণ্যে খরচ বাড়িয়েছেন। রিপোর্টে তানভির দাবি, আয় বৃদ্ধি এবং আর্থিক অবস্থা ভাল হওয়ার আশাই পরিবারগুলিতে চাহিদার ছন্দে ফেরার চাবিকাঠি। তবে সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজের বাজারের উন্নতি নিয়ে ৪৫-৫৪ বছর বয়সিদের থেকে অনেক বেশি আশাবাদী তুলনায় ছোটরা, যাঁদের বয়স ৪৪ বছরের কম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

shopping Discrimination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE