বিশিষ্ট চিকিৎসক রাহুল গুপ্ত আর নেই। আজ বেলা সওয়া ১১টায় কলকাতার এক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৭৩ বছরের রাহুলবাবু স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনিদের রেখে গিয়েছেন। বরাক উপত্যকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে তিনি যেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন, তেমনই শিক্ষাক্ষেত্রেও বিশেষভাবে জড়িয়ে ছিলেন। আধুনিক ল্যাবরেটরি এবং সব ধরনের সুবিধে যুক্ত বেশ ক’টি বেসরকারি হাসপাতাল তৈরিতে রাহুলবাবু উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিলেন। শিলচর শহরে একটি জুনিয়র কলেজ এবং একটি স্কুলও তিনি প্রতিষ্ঠা করেন।
গত ১৩ অগস্ট রাতে রাহুলবাবু তাঁর চেম্বারে রোগী দেখছিলেন। আচমকা অসুস্থতা বোধ করেন। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ ঘটায় রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পরদিন কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রাহুলবাবুর মৃত্যুতে অল আসাম নন গভর্নমেন্ট হেলথ এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি মৃদুল মজুমদার শোক ব্যক্ত করেন। সংগঠনের জেলা প্রচার সম্পাদক পিনাক চক্রবর্তী জানান, কাল রাহুলবাবুর মৃতদেহ শিলচরে নিয়ে আসা হবে। পরিবেশকর্মী পীযূষকান্তি দাসের কথায়, ‘‘রাহুল গুপ্তের হাত ধরেই শিলচরের গত বাঁধা শিক্ষাব্যবস্থায় একটা পরিবর্তন আসে।’’ জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকেও রাহুলবাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy