E-Paper

করোনা নিয়ে এখনই ভয় নয়, বলছেন চিকিৎসকরা

চলতি মাসেই মুম্বইয়ে ৯৫ জন করোনা আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছে, যাঁদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেঙ্গালুরুতেও ৯ মাসের একটি শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়া খবর মিলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৫ ০৮:২১

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল দেশ জুড়ে। গত বারগুলির তুলনায় এ বার আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কম হলেও কিছু নির্দিষ্ট এলাকাতে তা বেশির দিকেই আছে বলে সূত্রের খবর। তবে চিকিৎসকেরা আশ্বস্ত করছেন, এখনই তেমন ভয়ের কিছু নেই। অন্যান্য জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কোভিডেরও। বয়স্ক ও অসুস্থদের ক্ষেত্রে যদিও বুস্টার ডোজ় নেওয়ার উপরেও জোর দিচ্ছেন বহু চিকিৎসক।

চলতি মাসেই মুম্বইয়ে ৯৫ জন করোনা আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছে, যাঁদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেঙ্গালুরুতেও ৯ মাসের একটি শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়া খবর মিলেছে। শিশুটি বেঙ্গালুরুর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তামিলনাড়ুতে ১২ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। কর্নাটকে ১৬ ও গুজরাতে ১৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের সমস্যা নিয়েও অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে, যাদের বেশির ভাগের পরীক্ষাতেই করোনা সংক্রমণের হদিস মিলছে। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় সেখানে কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারও পিছিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এই মুহূর্তে সকলকে বুস্টার ডোজ় নিতে না বলা হলেও বয়স্ক ও অসুস্থদের আগামী দিনে তা প্রয়োজন পড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই অবশ্য জানাচ্ছেন, এখনই কোভিড নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি। অন্যান্য জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কোভিডেরও। তাই পরীক্ষা না করলে কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব নয়, কোন উপসর্গ কোভিডের। অনির্বাণের কথায়, ‘‘হংকং, সিঙ্গাপুরে যে কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, তাঁরাও গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন বলে জানা যায়নি। আগেই বলা হয়েছিল দুই-তিন বছর অন্তর কোভিড ফিরে আসতে পারে। তেমনই হয়তো কোনও নতুন স্ট্রেন এসেছে, যার কারণে কিছু দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে।’’ তবে করোনা সতর্কতা সম্পর্কে পুরনো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর কথাই বলছেন ওই চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘‘উপসর্গ কম-বেশি যা-ই থাকুক, সেটাকে অবহেলা করলে চলবে না। বয়স্ক ও বাচ্চাদের প্রতি আলাদা করে যত্নশীল থাকতে হবে।’’

জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ নিয়ে রোগীরা এলেও, কোভিড পরীক্ষাতে মারাত্মক অনীহা রয়েছে বলেও দাবি চিকিৎসকদের। তাঁদের অভিজ্ঞতা বলছে, ‘‘মৃদু বা মাঝারি সমস্যায় আক্রান্তরা কখনওই পরীক্ষা করাতে রাজি হচ্ছেন না।’’ অন্য দিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের ‘ফিভার ক্লিনিক’-এ জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ থাকা রোগীদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Corona virus Covid 19 India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy