সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে পোল্যান্ডের এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাজে হতাশা প্রকাশ করলেও কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না আমেরিকা? প্রশ্ন শুনেই চটে যান ট্রাম্প। বলেন, “আপনি কী করে জানলেন যে পদক্ষেপ করা হয়নি?” তার পরেই ভারত প্রসঙ্গে চলে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারতের উপর শুল্ক চাপানোর জন্য রাশিয়ার কত ক্ষতি হয়েছে, তার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল করার কৌশল নিয়েছে আমেরিকা। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকার সময়েই রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল আমেরিকা। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেও সেই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকে। এর পাশাপাশি রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার জন্য ভারতের অধিকাংশ পণ্যে আরও ২৫ শতাংশ (মোট ৫০ শতাংশ) শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার পরেও অবশ্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসার পরিকল্পনাও আপাতত ভেস্তে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে সেই পদক্ষেপ কী, তা খোলসা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:
ওই সাংবাদিককে ট্রাম্প বলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেটা কি আপনি উল্লেখ করেছেন? চিনের পর ভারতই সবচেয়ে বেশি (রাশিয়ার তেল) আমিদানি করে। আর আপনি বলছেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি?” তার পরেই ট্রাম্প বলেন, “এটার জন্য (ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ) বহু কোটি ডলার লোকসান হয়েছে রাশিয়ার।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমি এখনও দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ের পদক্ষেপ করিনি। কিন্তু আপনি যদি বলেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, তা হলে আমার মনে হয়, আপনার অন্য চাকরি খোঁজা উচিত।” আর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, মস্কোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই ভারতের উপর শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি।