ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে দুই বন্ধুরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সরাসরি আমেরিকাকে তোপ দেগে বললেন, “আপনারা ভারত কিংবা চিনের সঙ্গে এই ভাবে কথা বলতে পারেন না।” এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিন সফরে গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তার পর বেজিঙে চিনের সামরিক মহড়া দেখতে উপস্থিত হন তিনি। চিন সফর শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুতিন দাবি করেন, অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করে এশিয়ার দুই বৃহত্তম শক্তিকে দমানোর চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ভারত এবং চিনকে রাশিয়ার ‘সঙ্গী’ বলে উল্লেখ করেন পুতিন। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতিকে নিশানা করে বলেন, “দুই দেশের নেতৃত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে।” এই প্রসঙ্গে পুতিনের সংযোজন, “ভারতের জনসংখ্যা ১৫০ কোটি। চিন শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। তাদেরও নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং আইন রয়েছে।” আমেরিকার উদ্দেশে পুতিনের বার্তা, ঔপনিবেশিক আমল চলে গিয়েছে। তাদের বোঝা উচিত যে, এ ভাবে সঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলা যায় না।”
ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনার জন্য ‘শাস্তিমূলক’ পদক্ষেপ হিসাবে এই শুল্ক আরোপ। যদিও রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হওয়া সত্ত্বেও চিনের উপর এই শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এ ছাড়া, ব্রাজ়িলের উপর আমেরিকা আরোপ করেছে ৫০ শতাংশ শুল্ক। এখনও পর্যন্ত মার্কিন শুল্কের এই হারই সর্বোচ্চ। ভারত বরাবরই জানিয়ে এসেছে, জাতীয় স্বার্থ এবং বিশ্ব বাজারে তেলের দামের কথা মাথায় রেখে বাণিজ্য নীতি স্থির করা হয়। এখনও এ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এসসিও বৈঠকের ফাঁকে মোদী-পুতিন বৈঠকেও মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এই আবহে ভারত এবং চিনের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকাকে বার্তা দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।