পাকিস্তান থেকে আসা ধুলোঝড়ে ঢাকা পড়ল রাজধানী দিল্লি। বুধবার রাত থেকেই রাজধানীতে ধুলোঝড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও সেই তাণ্ডব চলে। আচমকা এই ধুলোঝড়ে নাজেহাল অবস্থা দিল্লিবাসীর। দৃশ্যমানতা নেমে যায়। দূষণের মাত্রাও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ এই ধুলোঝ়ড়ের আবির্ভাব কী ভাবে? মৌসম ভবন জানিয়েছে, পাকিস্তানের উত্তর ভাগ থেকে এই ধুলোঝড় এসে দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। পাকিস্তান থেকে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হয়ে দিল্লিতে পৌঁছেছে এই ধুলোঝড়। এই ধুলোঝড়ের কারণে বুধবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দৃশ্যমানতা ৪৫০০ মিটার থেকে কমে ১২০০ মিটারে ঠেকে। ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ধুলোর মোটা আস্তরণে ঢাকা পড়ে দিল্লি। বৃহস্পতিবার সকালেও ধুলোর স্তরে ঢাকা ছিল রাজধানী। তবে বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়। এই ধুলোঝড় পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
পাকিস্তান থেকে ধুলোঝড় আসার খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই ঠাট্টা করে বলতে শুরু করেছেন, এ বার কী তা হলে ধুলোঝড় পাঠিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করছে পাকিস্তান? যদিও এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কিন্তু ধুলোঝড় নিয়েও নানা রকম উক্তি সমাজমাধ্যমে ঘুরতে শুরু করেছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাকিস্তান পাল্টা হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু সাফল্যের সঙ্গে সেই হামলা প্রতিহত করে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সম্প্রতি দু’দেশের এই সামরিক অস্থিরতার পর পাকিস্তান থেকে বয়ে আসা ধুলোঝড়ের ঘটনা এখন চর্চার কেন্দ্রে।