ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন- ফাইল চিত্র।
নয়া ডামাডোল ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে। বিধায়কপদ খারিজ হয়ে যেতে পারে স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। বৃহস্পতিবারই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রাজ্যপাল।
হেমন্তের বিধায়কপদ খারিজের বিষয়ে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে তাদের মতামত জানতে চেয়েছিল। বৃহস্পতিবারই বিধায়কপদ খারিজের বিষয়ে সম্মতি দিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি নির্বাচন কমিশনের তরফে। তবে সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “নির্বাচন কমিশন হেমন্ত সোরেনের বিধায়কপদ খারিজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এ বার রাজ্যপাল ঠিক করবেন, তিনি এই প্রস্তাব মানবেন কি না।’’
কিছু মাস আগে ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দল বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, হেমন্ত সোরেন লাভজনক পদ দখল করে রয়েছেন। সংবিধান মোতাবেক, কোনও জনপ্রতিনিধি কোনও রকম লাভজনক পদে বা মুনাফা আছে এমন কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। বিজেপির অভিযোগ, একটি পাথর খাদানের ইজারা নেওয়া আছে হেমন্ত সোরেনের নামে। এতে স্বার্থের সংঘাত হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি নেতা রঘুবর দাশ চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম এই অভিযোগ তোলেন। এর পর রঘুবর দাশ এবং বিজেপির পরিষদীয় নেতা বাবুলাল মারান্ডির নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ১১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ১৯৫২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৯(এ) ধারার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হেমন্তের বিধায়কপদ খারিজের আবেদন জানান। রাজ্যপাল পাথর খাদান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি নোটিস পাঠান। বিধায়কপদ খারিজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে আবেদন জানান তিনি।
ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বয়িস ব্যক্তিগত সফরে সোমবার থেকে দিল্লিতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর রাঁচী ফেরার কথা। রাজ্যপাল ফিরে এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন, রাজভবনের তরফে এই সংক্রান্ত কোনও চিঠি তারা পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy