সাকেত গত ৩০ ডিসেম্বর থেকেই গুজরাতের জেলে বন্দি। ফাইল চিত্র।
জালিয়াতি মামলায় গুজরাতের জেলে বন্দি ছিলেন তৃণমূলের জাতীয় স্তরের মুখপাত্র সাকেত গোখলে। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করল আর্থিক দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সাকেতের বিরুদ্ধে জনতার অর্থ অপচয়ের অভিযোগ রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাকেতের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। এই অর্থ ক্রাউড ফান্ডিং-এর মাধ্যমে জনতার কাছ থেকে পাওয়া দান হিসাবে সংগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগ, যে উদ্দেশ্যের কথা জানিয়ে ওই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা আদতে সেখানে ব্যয় করা হয়নি। জনতার অর্থ অপচয়ের অভিযোগেই সাকেতকে গ্রেফতার করেছে ইডি।
যদিও সাকেত গত ৩০ ডিসেম্বর থেকেই গুজরাতের জেলে বন্দি। দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল আমদাবাদের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ইডি যে অর্থ অপচয়ের মামলায় সাকেতকে গ্রেফতার করেছে, সেই একই মামলাতে গুজরাত পুলিশের অপরাধ দমন শাখা গ্রেফতার করেছিল সাকেতকে।
এই নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে তিন বার গ্রেফতার হলেন সাকেত। ৬ ডিসেম্বর তাঁকে রাজস্থানের বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। অভিযোগ ছিল দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যে খবর ছড়িয়েছেন সাকেত।
গত ১ ডিসেম্বর মোরবী সেতু ভাঙা নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন সাকেত। গুজরাত পুলিশ সূত্রে খবর, ওই টুইটের জন্যই সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়। যে টুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাতে তৃণমূলের জাতীয় স্তরের নেতা লিখেছিলেন, ‘‘গুজরাতে মোরবী সেতু ভাঙার পর সেখানে শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিদর্শনের জন্য খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। যার মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি খরচ করা হয় শুধু মোদীকে অভ্যর্থনা জানানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য এবং ছবি তোলার জন্য।’’
ওই টুইটে আরও একটি হিসাব দেখিয়ে সাকেত লিখেছিলেন, ‘‘মোরবী সেতু ভেঙে মৃত ১৩৫ জনকে মোট ৫ কোটি টাকার এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রশাসনের কাছে মোদীকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানের দাম ১৩৫ জনের জীবনের থেকে বেশি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy