Advertisement
E-Paper

ইডির নিশানায় গান্ধী পরিবার, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

২০১৫ সালে, সনিয়া এবং রাহুলকে ক্লিনচিট দিয়ে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত বন্ধের সুপারিশ করেছিলেন তৎকালীন ইডি অধিকর্তা রাজন কাটোচ। কিন্তু তার পরেই মোদী সরকার সরিয়ে দেয় রাজনকে।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৫১
Share
Save

সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। হয়েছিল, এক ডজন ঠিকানায় তল্লাশি অভিযানও। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যেই এ বার ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)!

ইডি সূত্রের খবর, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র, তার প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেট (এজেএল) এবং পরিচালন তথা মালিক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে এই তালিকায়। প্রসঙ্গত, জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে ২০১৩ সালে, মনমোহন সিংহের জমানাতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ, ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। যার বেশির ভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।

২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা। যার পর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। ৯০ কোটি টাকা দেনার বোঝাও চাপে তাদের ঘাড়ে। এর কিছু দিন পর ‘দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়’ বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে ঋণের টাকা মকুব করে দেওয়া হয়।

এখানেই আপত্তি তোলেন স্বামী। তাঁর যুক্তি, কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। তাদের কোনও কর দিতে হয় না। কোনও বাণিজ্যক সংস্থাকে ঋণ দেওয়াও তাদের এক্তিয়ারের বাইরে। এই মালিকানা হস্তান্তরে বেআইনি লেনদেন হয়েছিল কি না, তার তদন্তের জন্য ২০০১৫- গোড়ায় ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত। পাশাপাশি আইটিও-র দফতর থেকে কোনও পত্রিকা প্রকাশিত হয় না, এই যুক্তি দিয়ে এজেএল-কে দফতর খালি করতে বলেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। হাই কোর্টও গত বছর সেই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিল।

যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, ইয়ং ইন্ডিয়া অলাভজনক সংস্থা। এই সংস্থা কোনও মালিককে ডিভিডেন্ড (মুনাফার ভাগ) দিতে পারে না। কোনও সম্পত্তির হাতবদল বা আর্থিক লেনদেনও হয়নি। বস্তুত, প্রথম দফার তদন্তের পর ইডি কংগ্রেসের দাবিকেই মান্যতা দিয়ে মামলাটি বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে তড়িঘড়ি ইডি-র তৎকালীন অধিকর্তা রাজন কাটোচকে সরিয়ে দিয়েছিল মোদী সরকার।

national herald National Herald Case ED Enforcement Directorate Congress Associated Journals Limited Young India

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy