আরজেডি প্রধান তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া চালাতে বাধা রইল না! জমির বদলে রেলে চাকরির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পেল ইডি।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। অভিযোগ, সেই সময় চাকরি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পরে ইডি এফআইআর দায়ের করে এই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত মার্চ মাসেই এই মামলার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালুকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। শুধু তাঁকে একা নয়, লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, পুত্র তেজপ্রতাপকেও তলব করা হয়েছিল। সেই তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরাও দেন লালুরা।
সিবিআই ইতিমধ্যেই এই মামলায় বেশ কয়েকটি চার্জশিট জমা করেছে। সেই সব চার্জশিটে দাবি করা হয়, কী ভাবে রেলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জমির দাবি করা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, দুর্নীতির শিকড় কী ভাবে গজিয়েছিল, কী ভাবে তার বিস্তার হয়েছিল— তা-ও চার্জশিটে উল্লেখ করে সিবিআই। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে ইডি ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি লালুর পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন:
আরজেডি প্রধান অতীতে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলের গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বিহারের বহু তরুণকে জমি এবং টাকার বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বর্তমানে ইডি এবং সিবিআই— দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। ইডির দাবি, ওই নিয়োগের বদলে জমিগুলি লালুর পরিবার বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই মামলায় অতীতে একাধিক বার লালু এবং তেজস্বীকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পটনা, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলেছিল।