-ফাইল ছবি।
বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা ‘রোজভ্যালি গ্রুপ অব কোম্পানিজ’-এর স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৩০৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত (‘পজেশন’) করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
শুক্রবার ইডি-র তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ অনুসারেই রোজভ্যালি গ্রুপের এই স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ। ইডি এবং সিবিআই, দুই সংস্থাই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ওই সংস্থায় লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সংস্থার আরও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে ওই সময়েই ইডি জানিয়েছিল।
সম্প্রতি রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডুর স্ত্রী শুভ্রাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গৌতমকে আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ২০১৫ সাল থেকে জেলে তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, গৌতম জেলে যাওয়ার পর রোজ ভ্যালির ‘চাবির গোছা’ শুভ্রার হাতে ওঠে। এমনকি যে ‘অদ্রিজা’ দোকানের আড়ালে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ, তারও দেখভাল করতেন শুভ্রা। সেই সময় তদন্তের দায়িত্বে থাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর এক কর্তা মনোজ কুমারের সঙ্গেও শুভ্রার নাম জড়িয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, শুভ্রার কাছ ‘সুবিধা’র বিনিময়ে তদন্তকে ভুল পথে চালনা করছিলেন তিনি। সেই সময় মনোজকেও গ্রেফতারও করে কলকাতা পুলিশ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অভিযোগ, রোজ ভ্যালির কোটি কোটি টাকা পাচার করে দেন শুভ্রা। তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণও রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, গ্রেফতার হওয়ার পর জেল থেকে যাঁদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন গৌতম, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শুভ্রা। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, গৌতমের নির্দেশেই কাউকে কিছু না-জানিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা সরিয়ে ফেলেন শুভ্রা। বিদেশেও টাকা সরিয়ে ফেলা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy