কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের সঙ্গে জড়িত সোনা পাচার মামলায় এ বার তদন্ত শুরু করল ইডি। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরই বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে তারা। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে গত ৩ মার্চ প্রায় ১৪ কেজি সোনা সমেত রান্যাকে গ্রেফতার করেছিল রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর (ডিআরআই)। পরে তারা এই মামলায় সিবিআই তদন্তের আবেদন করে। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। ইতিমধ্যেই সোনা পাচার মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এ বার ইডিও একযোগে তদন্ত শুরু করল।
ডিআরআই-এর এক কর্তা অভিষেক গুপ্তের অভিযোগের ভিত্তিতে সোনা পাচার মামলায় সিবিআই একটি এফআইআর দায়ের করেছিল। উল্লেখ্য, ৩ মার্চের পর ৬ মার্চ মুম্বই বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২২ কেজি সোনা-সহ দুই বিদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরাও দুবাই থেকে ভারতে এসেছিলেন। অভিষেক তাঁর অভিযোগে পর পর সোনা পাচারে কোনও বড় চক্রের যোগ থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন। দুবাই থেকেই সেই চক্র পরিচালনা করা হয় বলেও অনুমান তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন:
রান্যার কাছ থেকে সোনা পাওয়ার পরেই রাজ্য সরকার এই মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। যদিও পরে তদন্তে আর অগ্রগতি হয়নি। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ডিআরআই হেফাজতে রয়েছেন রান্যা। সেখানেই গোয়েন্দারা তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অভিনেত্রী বলেন, ‘‘গত ১ মার্চ আমি একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন পাই। সপ্তাহ দুই ধরে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসছিল। আমাকে দুবাই বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনাল গেটে যেতে বলা হয়েছিল। সেখান থেকে সোনা সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ ছিল।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই প্রথম বার আমি দুবাই থেকে সোনা পাচার করেছিলাম।’’ কী ভাবে সোনা বিমানে করে ভারতে আনবেন, তার ছক কষতে ইউটিউবের সাহায্য নিয়েছিলেন বলেও তদন্তকারীদের জানান রান্যা।