ছবি: তেজস্বী যাদব। পিটিআই-এর তোলা ফাইলচিত্র
রাজপাট গিয়েছে, পথই এখন ভরসা লালু-পুত্র তেজস্বীপ্রসাদের। মাসখানেক বাদেই গাঁধী ময়দানে মহাজোটের বিশাল সমাবেশের ডাক দেওয়াই ছিল। সেই সমাবেশই এখন পাখির চোখ হওয়ার কথা তেজস্বীর। কিন্তু শিয়রে ইডি, সিবিআই-ও ঘুরছে। তাই সে নিয়ে চিন্তাও কিছু কম নেই তাঁর।
আরজেডি শিবিরের মতে, বিধানসভায় বক্তৃতা দেওয়ার পরে দলের সমর্থকদের চোখে তেজস্বী হিরো হয়ে উঠেছেন। কিন্তু ইডি-র সামনে কী হবে, তা নিয়ে সবারই কপালে ভাঁজ পড়ছে।
মুখে অবশ্য সে কথা স্বীকার করতে নারাজ তেজস্বী। ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের বাড়ির বাগানে ঘুরতে ঘুরতে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ইডি, সিবিআই নিয়ে ভাবছি না। আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত তো চলবেই। যে কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করলেই অভিযোগ সত্যি হয় না।’’
আরও পড়ুন: আহমেদকে জেতাতে রিসর্টবন্দি বিধায়করা
তেজস্বীর দাবি, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তিনি অনেক বেশি ব্যস্ত দলকে গুছিয়ে নিতে। বলছেন, ‘‘রাজ্যপাট গিয়ে ভালই হয়েছে। এখন আমি মানুষের কাছে যেতে পারব।’’ তেজস্বীর দাবি, রাজ্যের গরিব, পিছড়ে বর্গ, দলিত, সংখ্যালঘুদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামবেন তিনি। অগস্টে গাঁধী ময়দানে তিল ধারণের জায়গা থাকবে না বলেও দাবি করছেন তিনি। তেজস্বীর দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে গুণ্ডাগিরির যে অভিযোগ উঠেছে তা-ও কী করে কমানো যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। যদিও দলেরই একাংশের মতে, লালুজি এ রকম অনেক বার ভেবেছেন। কিন্তু যাদবদের নিয়ন্ত্রণ করা অত সহজ নয়।
কিন্তু নীতীশ কুমার যে বলছেন, রাস্তায় তেজস্বীর আসল চেহারা দেখাবেন?
এ বার চোখেমুখে রাগ তেজস্বীর, ‘‘উনি অনেক কিছু বলেন। এতই যদি বলবেন তো বিধানসভায় উত্তর দিতে পারলেন না কেন?’’ তেজস্বীর দাবি, ‘‘নিশ্চয়ই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একজোট হয়ে আমাদের বিপদে ফেলার নতুন কোনও ফন্দি আঁটছেন নীতীশ। এ সব এখন মানুষ বুঝে গিয়েছেন। ঠিক সময়েই তাঁরা জবাব দেবেন।’’
লালু-পুত্রের আক্রমণ নিয়ে অবশ্য সময় নষ্ট করতে নারাজ জেডিইউয়ের শীর্ষ নেতারা। দলের মুখপাত্র নীরজ কুমারের বক্তব্য, ‘‘ওঁর কাছে নীতিকথা শুনব না। মানুষ জানেন, আমাদের নেতা নীতীশ কুমার কখনও নীতির প্রশ্নে আপস করেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy