শুধু নিজের রাজ্যে নয়। অন্য রাজ্যেও যদি ২০০২ বা ২০০৩-এর ভোটার তালিকায় নাম থাকে, তা হলে আর চিন্তা নেই। ভোটার তালিকায় বিশেষ পরিমার্জন (এসআইআর)-এর সময় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আর কোনও নথি দেখাতে হবে না। বিনা সমস্যায় নতুন ভোটার তালিকায় নাম উঠে যাবে।
বিহারে এসআইআর শুরু করার সময় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, যদি ২০০২-এর বিহারের ভোটার তালিকায় কারও নাম থাকে, তা হলে তাঁর চিন্তা নেই। নতুন ভোটার তালিকায় জায়গা পেতে তাঁকে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে না। ২০০২-এ বিহারে শেষ এসআইআর হয়েছিল।
বিহারের পরে এ বার নির্বাচন কমিশন গোটা দেশেই এসআইআর শুরু করতে চলেছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব রাজ্যকে প্রাথমিক প্রস্তুতি সেরে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি হিসেবে সব রাজ্যেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে ২০০২ বা ২০০৩-এর ভোটার তালিকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটেও ২০০২-এর ভোটার তালিকা দেওয়া হয়েছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে ২০০২ সালেই শেষ বার এসআইআর হয়েছে। অন্য সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা নিজেদের ওয়েবসাইটে সে রাজ্যের ২০০২ বা ২০০৩-এর ভোটার তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের ২০০২-এর তালিকায় নাম না থাকা কেউ যদি দেখাতে পারেন, ওই সময় অন্য কোনও রাজ্যের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল, তা হলে সমস্যা হবে না। তাঁকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে না। কারণ, এমনটা হতেই পারে যে আগে তিনি অন্য রাজ্যে থাকতেন। এখন পশ্চিমবঙ্গে থাকছেন। আবার অনেকেই এমন রয়েছেন যে বিশ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে থাকতেন, কিন্তু এখন নিজের বা সন্তানের চাকরির সূত্রে পুণে বা বেঙ্গালুরুতে চলে গিয়েছেন। তাঁদেরও চিন্তা করতে হবে না। ২০০২-এর ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোটার কার্ডের নম্বর, ভোটার তালিকায় ক্রম নম্বর, পার্ট নম্বর এসআইআর-এর গণনাপত্রে (এনুমারেশন ফর্ম) লিখে দিলেই হবে। একই ভাবে কেউ তাঁর বাবা-মায়ের নাম ২০০২-এ কোনও একটি রাজ্যের ভোটার তালিকায় দেখাতে পারলেও চলবে। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আর কোনও নথি দিতে হবে না। সব রাজ্যেই এই সুবিধা মিলবে। কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, ২০০২ বা ২০০৩-এ কারও নাম ভোটার তালিকায় থাকার অর্থ সে সময় তাঁর বয়স অন্তত ১৮ বছর ছিল। অর্থাৎ তাঁর জন্ম ১৯৮৪ বা ১৯৮৫ সালে। নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে যাঁদের ভারতে জন্ম, তাঁরা সকলে জন্মসূত্রে সকলে ভারতের নাগরিক। ২০০২-এর তালিকায় বাবা-মায়ের নাম থাকলে তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণিত হয়ে যাবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)