সোমবার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। বিকেল ৪টের সময় তারা একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই সাংবাদিক বৈঠকেই বিহারের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে।
বিহারের বিধানসভার আসনসংখ্যা ২৪৩। বর্তমান আইনসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২২ নভেম্বর। তার আগে অক্টোবরের শেষে রয়েছে ছটপুজো। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চাইছে, ছটের পরপরই নির্বাচনের আয়োজন করা হোক। কারণ, যাঁরা বাইরে থাকেন, ছটপুজো উপলক্ষে তাঁদের অনেকেই বিহারে ফেরেন। এই সময় ভোট হলে তাঁরাও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ফলে ভোটের হার বাড়বে।
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে করোনা অতিমারির আবহে বিহারে তিন দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন। ফলে কত দফায় নির্বাচন ঘোষণা করা হয়, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।
আরও পড়ুন:
ভোটের আগে বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) করেছে কমিশন। অনেক ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রবিবার নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান, ভোটপ্রক্রিয়ায় ১৭টি নতুন পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যা বিহার থেকে শুরু হবে। আগামী দিনে গোটা দেশ তা অনুসরণ করবে। এই পরিবর্তনগুলির ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও উন্নত হবে বলে কমিশন আশাবাদী।
ভোট ঘোষণার আগে বিহার সফরে গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের সম্পূর্ণ বেঞ্চ। সফর সেরে জ্ঞানেশ জানান, কোনও ভোটকেন্দ্রে ১২০০ জনের বেশি ভোটার থাকবে না। এর আগে যা ছিল ১৫০০। আগে মোবাইল ফোন নিয়ে ভোট দিতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। নতুন নিয়মে ভোটারেরা ফোন নিয়েই ভোট দিতে যেতে পারবেন। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে থাকবে ফোন বুথ কক্ষ। সেখানে মোবাইল জমা রাখা যাবে। কমিশন জানিয়েছে, বুথ-স্তরের আধিকারিকদের সহজে চিহ্নিত করার জন্য পরিচয়পত্র চালু করা হয়েছে। এর ফলে তাঁদের সঙ্গে ভোটারদের পরিচয় আরও সহজ হবে। প্রতিটি বুথে হবে ওয়েবকাস্টিং। এ ছাড়া জ্ঞানেশ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আধার কার্ডকে জন্ম বা নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে গণ্য করা যাবে না। এসআইআর নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। অনেকে এর বিরোধিতা করেছেন। বিতর্কের আবহেই সোমবার বিকেলে বিহারের ভোটের দিন ঘোষণা করতে চলেছে কমিশন।