মহিলাকে ধর্ষণ এবং শারীরিক হেনস্থার অভিযোগে ৭ বছরের কারাদণ্ড। প্রতীকী ছবি।
মহিলাকে ধর্ষণ এবং শারীরিক হেনস্থার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। অভিযোগ, তিনি রূপান্তরকামী সেজে ওই মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। নিগ্রহের আগে মহিলাকে মাদক খাইয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তের নাম নরশিমা বিচাপ্পা শিরভাতি, বয়স ৪৭ বছর। বুধবার মুম্বইয়ের নিম্ন আদালত তাঁকে দু’টি পৃথক আইনে ৭ বছর হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছে।
ঘটনাটি ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল। নির্যাতিতা মহিলা ওই দিন এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, বন্ধু এবং ওই ব্যক্তিকে তিনি শৌচালয় থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেন। তাঁকে দেখে রূপান্তরকামী বলেই মনে হয়েছিল।
অভিযোগ, এর পর নির্যাতিতার সঙ্গেও ভাব জমান অভিযুক্ত। তিনি ওই মহিলাকে বলেন, তাঁর উপর অশুভ শক্তি প্রভাব বিস্তার করেছে। কুনজর কাটাতে কী কী করা দরকার, তার পথও বাতলে দেন অভিযুক্ত। মহিলা জানিয়েছেন, এর পর তাঁর শরীরের নানা অংশে হলুদ, চাল, তেলের মতো উপাদান লাগিয়ে দেওয়া হয়। শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে চলে শারীরিক নিগ্রহ। তাঁর হাত ছাড়িয়ে পালাতে চাইলে ভয় দেখানো হয় বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বুধবার তার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। মহারাষ্ট্রের কালাজাদু প্রতিরোধ আইনে এক বছর এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy