সোনম রঘুবংশীকে ‘দিদি’ বলে ডাকতেন মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডে ধৃত রাজ সিংহ কুশওয়াহা! এমনটাই দাবি করেছেন রাজের পরিবারের সদস্যেরা। রবিবার রাতে মধ্যপ্রদেশের ইনদওর থেকে রাজকে গ্রেফতার করে মেঘালয় পুলিশ। সোনমের স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। দাবি করা হচ্ছে, সোনমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাজের। পুলিশ এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না জানালেও ঘটনার সময় যে রাজ সোনমের সঙ্গেই ছিলেন, তা নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারীরা।
সোনমের সঙ্গে রাজের প্রেমের তত্ত্ব অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছে ধৃত তরুণের পরিবার। রাজের বোনের দাবি, সোনমকে দিদি বলে ডাকতেন রাজ। পারিবারিক সূত্রে সোনমদের সানমাইকার ব্যবসা ছিল। ওই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন রাজ। একজন নিয়োগকর্তা এবং একজন কর্মীর মধ্যে যেমন সম্পর্ক হয়, রাজ এবং সোনমের মধ্যেও তেমনই সম্পর্ক ছিল বলে দাবি ধৃতের বোনের। রাজের বোনের বক্তব্য, তাঁর দাদা কোনও ভাবেই এমন কাজ করতে পারে না। রাজকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর।
ধৃত তরুণের মায়েরও বক্তব্য, তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যেটুকু কথা বলা প্রয়োজন, সোনমের সঙ্গে রাজের সেটুকুই কথা হত বলে দাবি করেছেন তিনি। রাজের মায়ের কথায়, “আমার ছেলে এমন কাজ করতেই পারে না। ও তো ২০ বছরের ছোট বাচ্চা।” বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, খুনের নেপথ্যে রয়েছে রাজের সঙ্গে সোনমের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আগে থেকেই সোনমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। অভিযোগ, রাজাকে খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন এই রাজ। তাঁর সঙ্গে সোনমের একাধিক ফোনালাপের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে দাবি। এমনকি, রাজার সঙ্গে সোনমের বিয়ের পরেও দু’জনের যোগাযোগ ছিল।
আরও পড়ুন:
যদিও সোনম এবং রাজের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না, তা স্পষ্ট ভাবে জানায়নি পুলিশ। সোমবার দুপুরে মেঘালয়ের পূর্ব খাসি জেলার পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ইনদওর থেকে ধৃত রাজ কুশওয়াহা কি সোনমের প্রেমিক? তাঁরা কি পরিকল্পনা করেই খুন করেছেন রাজাকে? সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনা পরম্পরাগুলিকে যুক্ত করলে তেমনটাই মনে হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে, ঘটনার সময় কুশওয়াহা সোনমের সঙ্গেই ছিলেন।