জেল হেফাজতে জ্যোতি মলহোত্রা। আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পর তাঁকে হরিয়ানার হিসার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন বাবা হরিশ মলহোত্রা। মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, তাঁর মেয়ে নির্দোষ। আদালতে মেয়েও সে কথাই জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর ন’দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন জ্যোতি। সোমবার তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে হিসার আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এর পর মঙ্গলবার থেকে জেলে বন্দি জ্যোতি। ওই দিনই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বাবা।
জ্যোতি ন’দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার সময় হিসার পুলিশ সুপার শশাঙ্ককুমার সাওয়ান জানান, ভারতীয় সেনা বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কোনও গোপন তথ্য জ্যোতির হাতে এসেছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। তিনি কোনও জঙ্গি সংগঠন বা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, তা-ও জানা যায়নি।
তবে জ্যোতির সঙ্গে যে পাক গুপ্তচরেদের যোগাযোগ ছিল, তা নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও ধৃত ইউটিউবারকে জেরা করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় জ্যোতির চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কিন্তু ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে সন্দেহজনক কোনও লেনদেন হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ।