দেশ জুড়ে যখন যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলছেন মেয়েরা, ঠিক তখনই জম্মু-কাশ্মীরের এক মহিলা চিকিৎসক তাঁর সহকর্মীর বিরুদ্ধে মুখ খুলে ‘শাস্তি’ পেলেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলা ‘শেরি কাশ্মীর ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ (এসকেআইএমএস)-এ কর্মরত। তাঁর দাবি, কয়েক মাস আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এক পুরুষ সহকর্মীর নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসপাতালের কর্মী সংগঠনের প্রভাবশালী সদস্য হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করেন। পরে সংবাদমাধ্যমে জানাজানি হয়ে যাওয়ায় চাপের মুখে পড়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়।
সম্প্রতি অভিযোগকারিণী, অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের ডেকে বয়ান নেয় কমিটি। পরে একটি নোটিস দিয়ে অভিযোগকারিণী এবং অভিযুক্ত দু’জনকেই অন্য দফতরে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। মহিলা বলেছেন, ‘‘নোটিস পড়ে চমকে গিয়েছিলাম। এর অর্থ, আমিই দোষী।’’
কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার হাত থেকে বাঁচতে বিশাখা কমিটির নির্দেশাবলী চালু করেছে সরকার। তাতে পরিষ্কার বলা আছে, দোষীকে অন্য দফতরে বদলি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁর জন্যেও বদলির নির্দেশ আসায় হতাশ ওই মহিলা চিকিৎসক। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘এর পরে এসকেআইএমএস হাসপাতালের কোনও মহিলাকর্মী এই ধরনের হেনস্থার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাবেন না।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই মহিলা চিকিৎসককে বদলির সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করেছেন। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা।