প্রতীকী চিত্র।
স্বামী অন্য মহিলাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেনাকাটা করছেন। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যান স্ত্রী। আর তার পর ভরা বাজারের রাস্তায় যা ঘটল তার জন্য প্রস্তুত ছিল না উত্তরপ্রদেশের মেরুটের সেন্ট্রাল মার্কেটের মানুষ। রাস্তার মাঝেই স্বামী-স্ত্রীকে হাতাহাতি করতে দেখলেন গোটা বাজারের লোক।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আয়েশা নামের ওই মহিলা তাঁর স্বামী আদনানের উপর ভরা বাজারে চড়াও হন। বান্ধবীকে পোশাক কিনে দিচ্ছিলেন আদনান। আয়েশা হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁকে। তারপরই প্রকাশ্যে শুরু হয়ে যায় ‘যুদ্ধ’। ওই দম্পতিকে হাতাহাতি করতে দেখে সেখানে উপস্থিত হন এক পুলিশ কর্মী। তাঁর হস্তক্ষেপে সাময়িক ভাবে ছেদ পড়ে সেই লড়াইয়ে। তাঁর পর তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
থানায় আরেক প্রস্থ শুরু হয় ঝগড়া। আয়েশা অভিযোগ করেন, আদনান তাঁকে অন্ধকারে রেখে বান্ধবীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। আদনান দাবি করেন, তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। যদিও আদনান তাঁর দাবির সপক্ষে কোনও নথি দেখাতে পারেননি। পরে তিনি দাবি করেন, তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। আয়েশা আবার দাবি করেন, আদনান তাঁকে বেআইনি ভাবে বিচ্ছেদ দিয়েছেন। এর জন্য আদনানকে তিনি জেলে ঢোকাবেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয় আদনান-আয়েশার। আয়েশা জেরার মুখে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি।
মেরঠ পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আদনান তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরছিলেন যা তাঁর স্ত্রী আয়েশার পছন্দ ছিল না। তা নিয়েই সেন্ট্রাল মার্কেটে হাতাহাতি শুরু করেন দম্পতি। যার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। সেই সঙ্গে ওই অফিসার আরও জানিয়েছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হতে এখনও বাকি আছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy