Advertisement
E-Paper

অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ হচ্ছে দমকল কেন্দ্রের অভাবে, বলছে সরকারি রিপোর্ট

এর মূল কারণ, দেশের শহরগুলিতে প্রয়োজনের তুলনায় দমকল কেন্দ্রের সংখ্যাল্পতা। দমকল কর্মীদের সংখ্যাল্পতা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ১৮:৫৭
মুম্বইয়ের কমলা মিলে সেই অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত।

মুম্বইয়ের কমলা মিলে সেই অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত।

অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্য দেশে অগ্নিকাণ্ড বাড়ছে। আর তুলনায় বেশি ঘিঞ্জি হওয়ায় তা বেশি ঘটছে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের শহরগুলিতে।

এই খবর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর সাম্প্রতিক রিপোর্ট। হালে মুম্বইয়ের কমলা মিলে অগ্নিকাণ্ড অত ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল, ঠিক সময়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে না পারায়। যথাসময়ে পর্যাপ্ত দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়নি বলে।

এর মূল কারণ, দেশের শহরগুলিতে প্রয়োজনের তুলনায় দমকল কেন্দ্রের সংখ্যাল্পতা। দমকল কর্মীদের সংখ্যাল্পতা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সমীক্ষা বলছে, আগুন লাগার পর ঠিক সময়ে দমকল কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ার জন্য দেশের শহরগুলিতে আরও অন্তত ৪ হাজার ২০০ নতুন দমকল কেন্দ্রের প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাম্প্রতিক সমীক্ষা

ওই সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, দেশের শহরগুলিতে খুব কম করে হলেও এখন ৮ হাজার ৫৫৯টি দমকল কেন্দ্র দরকার। সেখানে আছে সাকুল্যে ২ হাজার ৮৭টি। তার মানে, দ্রুত নগরায়ন সত্ত্বেও প্রয়োজনের তুলনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৬৫ শতাংশ কম রয়েছে দমকল কেন্দ্র।

আরও পড়ুন- মুম্বই-অগ্নিকাণ্ড: কনস্টেবলের সাহসে মৃত্যু থামল ১৪-য়​

আরও পড়ুন- রাতারাতি বন্ধ অনুদান, প্রবল চাপে পাকিস্তান, তলব মার্কিন দূতকে​

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট থেকেও একটা ছবি স্পষ্ট যে, মূলত অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্যই শহরগুলিতে অগ্নিকাণ্ড বাড়ছে। ২০১৫ সালে শুধু অগ্নিকাণ্ডেই দেশের বিভিন্ন শহরে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭ হাজার ৭০০ মানুষ। তার মানে, দিনে গড়ে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল অগ্নিকাণ্ডে। তার মধ্যে ৬২ শতাংশই (১০ হাজার ৯২৫) ছিলেন মহিলা। ভারতের যে দু’টি রাজ্যে নগরায়ন হয়েছে সবচেয়ে বেশি, সেই মহারাষ্ট্র আর গুজরাতেই অগ্নিকাণ্ড সবচেয়ে বেশি ঘটেছে।


তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (২০১৫ সালের তথ্যের ভিত্তিতে)

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ, নগরায়নে শুধুই গগনচুম্বী অট্টালিকার সংখ্যা বাড়ানোর পিছনে ছোটা হচ্ছে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণ আর তার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের উপর তেমন ভাবে নজর রাখা হচ্ছে না।

‘‘এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি স্তরে নানা রকমের বাধা আছে’’, বলছেন দিল্লি ফায়ার ব্রিগেডের প্রধান জি সি মিশ্র।

মিশ্রের বক্তব্য, অগ্নি নিরাপত্তা আইন স্বাধীন ভারতে প্রথম চালু হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। কিন্তু তার পর দিল্লি সে ব্যাপারে তুলনায় অনেক বেশি সতর্ক হলেও ভারতের পশ্চিম প্রান্তের শহরগুলির বেশির ভাগেই এখনও ১৫০ বছর আগেকার অগ্নি নিরাপত্তা আইনেরই চল রয়েছে।

মুম্বইয়ের রস সেন্টার ফর সাস্টেনেবল সিটিজের সদস্য মাধব পাই বলেছেন, ‘‘নগরায়নের সময় এ বার এই দিকেও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে গুরুত্ব দিতে হবে।’’

Fire Accidents Urbanisation Maharashtra Gujarat নগরায়ন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy