আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বায়ুসেনার স্টেশনে। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনে করে অস্ত্রশস্ত্র ঢুকছে বলে অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। কিন্তু এ বার একেবারে বায়ুসেনার ঘাঁটিতেই ঢুকে পড়ল সেই ড্রোন। বিস্ফোরক বোঝাই সেই ড্রোন গভীর রাতে জোড়া বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে।
দেশের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে এই প্রথম ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটল। তাই বিস্ফোরণের তীব্রতা তেমন না হলেও নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বায়ুসেনা সূত্রে খবর।
পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে জম্মু বিমানবন্দরে বায়ুসেনার স্টেশনে শনিবার রাতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে বায়ুসেনার দুই কর্মী আহত হন। বায়ুসেনার প্রযুক্তি বিভাগ চত্বরে একটি ভবনের উপরে প্রথমটি এবং খোলা জায়গায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয়। যে ভবনটির ছাদে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, তার উপর গর্ত তৈরি হয়েছে। তবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু নিরাপত্তা বলয় টপকে কী ভাবে ড্রোন দু’টি সেখানে ঢুকে পড়ল তার সদুত্তর মেলেনি।
ক্ষয়ক্ষতি তেমন না হলেও এই ঘটনার পিছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, স্টেশনে মোতায়েন বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারগুলিকেই নিশানা করা হয়েছিল। কোনও ভাবে ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বোমা বিশেষজ্ঞ, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
বছর দুয়েক ধরেই ড্রোনের মাধ্যনে পাকিস্তান থেকে উপত্যকায় অস্ত্রশস্ত্র ঢোকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সরাসরি কোনও সামরিক ঘাঁটির উপর ড্রোন হামলা এই প্রথম। তাতেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাঠানকোট-সহ অন্য বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিতে সতর্কতা জারি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy