—প্রতীকী চিত্র।
নিরামিষাশীদের জন্য আলাদা টেবিল কেন? ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির হস্টেলে ভিন্ন খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এক ছাত্র। জবাবে তাঁকে শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তি দিল আইআইটি কর্তৃপক্ষ। ওই ছাত্রকে মোটা টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি একটি নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাঁরা এই প্রতিবাদে ওই ছাত্রকে সমর্থন করেছিলেন, তাঁদেরও শাস্তি দেওয়া হবে শীঘ্রই।
ঘটনাটি ঘটেছে আইআইটি বম্বেতে। নিরামিষ খাবার খাওয়ার ভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে গত দিন পাঁচেক সেখানে চাপানউতর চলছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রদের একাংশে মধ্যে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর আইআইটি কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা একটি নোটিসের জেরেই পরের দিন অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর হস্টেলের ক্যান্টিনে ছাত্রদের একাংশ প্রতিবাদ জানান। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
২৭ সেপ্টেম্বরের ওই নোটিসে বলা হয়েছিল, হস্টেলের ক্যান্টিনের ছ’টি টেবিল বরাদ্দ থাকবে শুধুমাত্র নিরামিষাশীদের জন্য। অর্থাৎ ওই টেবিলে বসে কেউ মাছ-মাংস-ডিম জাতীয় আমিষ খাবার খেতে পারবেন না। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রতিবাদ জানান ছাত্রদের একাংশ। ২৮ তারিখ রাতে হস্টেলের ক্যান্টিনে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। নির্দিষ্ট টেবিলে বসে আমিষ খাবারও খান।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করার এই ঘটনায় এর পরে ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। হস্টেলের ওয়ার্ডেনদের নিয়ে বৈঠক করেন কর্তৃপক্ষ। এর পরেই চিঠি দিয়ে এক জন ছাত্রকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চিঠিতে আইআইটি বম্বের কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ সত্ত্বেও এই ছাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছেন। তাই এই জরিমানা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তাঁকে যাঁরা সমর্থন করেছিলেন, তাঁদেরও চিহ্নিত করে যথাবিধি শাস্তি দেওয়া হবে।
এই চিঠি পাওয়ার পর আইআইটি বম্বের ছাত্র সংগঠনের একাংশ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে খাপ পঞ্চায়েতের সঙ্গে তুলনা করে বলে, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আইন অমান্য করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যে ভাবে চিঠি পাঠিয়ে জরিমানা করেছে, তাতে তাদের শাসকের মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
অন্য দিকে, আইআইটি বম্বে কর্তৃপক্ষের দাবি, নিরামিষাশী ছাত্রদের স্বাস্থ্য এবং ভাল থাকার কথা চিন্তা করেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যাঁরা নিরামিষাশী তাঁরা অনেক সময়েই আমিষ খাবারের গন্ধও সহ্য করতে পারেন না। সেটা তাঁদের স্বাস্থ্য এবং সার্বিক ভাল থাকার জন্যও ক্ষতিকর। সে কথা মাথায় রেখেই ওই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy