ছবি সংগৃহীত।
আম আদমি পার্টির পুলিশ বনাম বিজেপির নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি এবং হরিয়ানার পুলিশ। বিজেপির এক নেতার গ্রেফতারি নিয়ে দিনভর চলল নাটক।
পঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, ১ এপ্রিল মোহালিতে রুজু সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর মামলায় পাঁচ বার নোটিস দিলেও সাড়া দেননি বিজেপি নেতা তাজিন্দর সিংহ বাগ্গা। শুক্রবার দিল্লির বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথ আটকে কুরুক্ষেত্র থানায় নিয়ে যায় বিজেপি শাসিত হরিয়ানা পুলিশ। জানা যায়, দিল্লির জনকপুরী থানায় বাগ্গার বাবা অপহরণের নালিশ করেছেন। বাগ্গাকে ফেরাতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ। পঞ্জাব পুলিশ যায় হরিয়ানা ও পঞ্জাব হাই কোর্টে।
পঞ্জাব হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ললিত বাত্রার এজলাসে সে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আনমোল রতন সিন্ধু প্রশ্ন তোলেন, অন্যের হেফাজত থেকে কী করে হরিয়ানা পুলিশ ধৃতকে হস্তান্তর করে? দিল্লি পুলিশের তরফে আইনজীবী সত্যপাল জৈনের নালিশ, পঞ্জাব যাবতীয় সরকারি শক্তি নিয়ে এক জনকে নিশানা করছে। বগ্গাকে হরিয়ানা ছাড়তে না-দেওয়ার পঞ্জাব সরকারের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। ততক্ষণে অবশ্য দিল্লি পুলিশ তাঁকে নিয়ে পানিপথ পেরিয়ে গিয়েছে। শনিবার শুনানিতে হলফনামা দাখিল করবে হরিয়ানা সরকার।
দিল্লি পুলিশের দাবি, গ্রেফতারির আগে নিয়ম মেনে তাদের জানানো হয়নি। অস্বীকার করে পঞ্জাব পুলিশের দাবি, তাদের দল আগের দিন সন্ধ্যা থেকে জনকপুরী থানায় আছে। দিল্লির আপ বিধায়ক অতিশীর অভিযোগ, অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুলিশ ও বিজেপি-শাসিত হরিয়ানার পুলিশ সব সীমা লঙ্ঘন করে পঞ্জাবের পুলিশকে রাস্তা থেকে কব্জা করেছে এক জন ‘গুন্ডা’কে বাঁচাতে।
হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, ‘‘আমরা দিল্লি পুলিশের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছি।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কলকাতায় অমিত শাহের মিছিল ঘিরে যে গোলমালের ঘটনা ঘটেছিল সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাগ্গা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy